শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:২৬ এএম

বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান: একজন সম্ভাবনাময় ব্যক্তিত্ব

বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। তার জীবনী ও কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে এই প্রবন্ধে আলোচনা করা হবে।

শিক্ষা ও প্রাথমিক কর্মজীবন:

রহমান ১৯৬৫ এবং ১৯৬৬ সালে যথাক্রমে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি ঢাকা জেলা জজ আদালতে আইন পেশায় যোগদান করেন এবং ১৯৭৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন। ১৯৮০ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন।

বিচারক হিসেবে কর্মজীবন:

১৯৯৬ সালে তিনি বাংলাদেশের হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। তার বিচারকালীন কর্মজীবনে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রায় প্রদান করেন। ২০০৭ সালের অক্টোবরে তিনি এবং বিচারপতি যুবায়ের রহমান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিন আদেশ জারি করেন। আবার, ২০০৭ সালের ২২ নভেম্বর তিনি ও বিচারপতি যুবায়ের রহমান চৌধুরী দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পদের বিবরণী চাওয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেন। ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারক নিযুক্ত হন।

প্রধান বিচারপতি হওয়ার সুযোগ বঞ্চনা:

২০১০ সালে বিচারপতি এ. বি. এম. খায়রুল হককে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করা হয়, যদিও রহমান আপিল বিভাগের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারক ছিলেন এবং প্রধান বিচারপতি হওয়ার জন্য পরবর্তী সারিতে ছিলেন। ২০১১ সালেও তাকে উপেক্ষা করে মোজাম্মেল হোসেনকে প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করা হয়। পদোন্নতি থেকে দুইবার বঞ্চিত হওয়ার পর তিনি ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্ট থেকে পদত্যাগ করেন।

অন্যান্য তথ্য:

তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ হান্নান শাহের ছোট ভাই ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বারা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

উপসংহার:

শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান একজন প্রতিভাবান আইনজীবী ও বিচারপতি ছিলেন। তার পদত্যাগের ঘটনা বাংলাদেশের বিচার বিভাগে বিতর্কের সৃষ্টি করে। তার জীবন ও কর্মজীবন নিয়ে আরও গবেষণা করা প্রয়োজন।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান।
  • তিনি ১৯৬৫ ও ১৯৬৬ সালে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।
  • ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন সম্পন্ন করেন।
  • দুইবার প্রধান বিচারপতি হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট থেকে পদত্যাগ করেন।
  • তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ হান্নান শাহের ছোট ভাই।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।