আবর্জনা ব্যবস্থাপনা

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
নামান্তরে:
Waste management
Solid waste management
Waste is a resource
Waste disposal
Solid Waste Disposal
Green bin program
Refuse Disposal System
Refuse disposal
আবর্জনা ব্যবস্থাপনা

আবর্জনা ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং শিল্পায়নের ফলে প্রতিদিনই আবর্জনার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই আবর্জনা যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা না করলে পরিবেশ দূষণ, জনস্বাস্থ্যের অবনতি এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে।

আবর্জনার উৎস: বাংলাদেশে আবর্জনার প্রধান উৎস হলো গৃহস্থালি, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানা, হাসপাতাল, কৃষিখামার। গৃহস্থালী আবর্জনার মধ্যে রয়েছে খাদ্যের অবশিষ্টাংশ, প্লাস্টিক, কাগজ, কাপড় ইত্যাদি। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয় প্যাকেজিং, খাবারের অবশিষ্টাংশ, প্লাস্টিকের পাত্র ইত্যাদি। শিল্প কারখানা থেকে বিভিন্ন ধরণের কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় বর্জ্য নির্গত হয়, যা অনেক ক্ষেত্রে বিষাক্তও হতে পারে। হাসপাতালের বর্জ্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।

বর্তমান অবস্থা: দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশের অধিকাংশ শহর ও গ্রামে আবর্জনা ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু নয়। আবর্জনা রাস্তার ধারে, খাল-বিল ও নদীতে ফেলে দেয়া হয়, যার ফলে পরিবেশ দূষিত হয় এবং নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ঢাকা শহরের মতো বৃহৎ শহরগুলিতে আবর্জনা সংগ্রহ ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলেও তা যথেষ্ট নয়। আবর্জনার পুনর্ব্যবহার ও কম্পোস্টিংয়ের ব্যবস্থা সীমিত।

সমাধানের উপায়: আবর্জনা ব্যবস্থাপনার জন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। এজন্য প্রয়োজন:

  • উৎসে আলাদা করে বর্জ্য সংগ্রহ: পচনশীল, অপচনশীল ও বিপজ্জনক বর্জ্যকে আলাদাভাবে সংগ্রহ করতে হবে।
  • পুনর্ব্যবহার: আবর্জনা থেকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান আহরণ করে নতুন পণ্য তৈরি করা যাবে।
  • কম্পোস্টিং: পচনশীল আবর্জনা থেকে কম্পোস্ট সার তৈরি করে কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়।
  • আধুনিক প্রযুক্তি: আবর্জনা ব্যবস্থাপনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত। যেমন, ইনসিনারেশন, বায়োগ্যাস উৎপাদন ইত্যাদি।
  • সচেতনতা বৃদ্ধি: জনসাধারণের মধ্যে আবর্জনা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।
  • সরকারের ভূমিকা: সরকারকে আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।

উদাহরণ: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে সুষ্ঠু ও কার্যকর ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হয়নি।

উপসংহার: বাংলাদেশের আবর্জনা সমস্যার সমাধান জনসচেতনতা, সরকারী নীতি, আধুনিক প্রযুক্তি এবং সকলের সহযোগিতার উপর নির্ভরশীল।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধমান আবর্জনার সমস্যা
  • পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি
  • পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনার পৃথক ব্যবস্থাপনা
  • পুনর্ব্যবহার ও কম্পোস্টিংয়ের প্রয়োজনীয়তা
  • আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার
  • জনসচেতনতা বৃদ্ধি

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - আবর্জনা ব্যবস্থাপনা

২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় গুরুতর সমস্যা দেখা দিয়েছে।