আনিসুল ইসলাম মাহমুদ: একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও আইনজীবীর জীবনকথা
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (জন্ম: ২০ ডিসেম্বর, ১৯৪৭) বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় এবং একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে। চট্টগ্রাম-৫ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসাবে তিনি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন এবং চট্টগ্রাম-৫ আসন থেকে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি চট্টগ্রাম-৪ আসন থেকে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবং চট্টগ্রাম-৫ আসন থেকে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তিনি বিরোধী দলের উপনেতা ছিলেন।
তার শিক্ষা জীবন সম্পর্কে বলতে গেলে, ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ, কায়েদ-এ-আজম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি এবং যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে যুক্তরাজ্যের লিংকনস্ ইন থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার এবং গবেষণা কর্মকর্তা হিসাবেও কাজ করেছেন। তিনি ১৯৮৯-১৯৯০ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এবং ১৯৮৭-১৯৯০ সালে বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাব লিমিটেডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি শাশা ডেনিমসের চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক।
মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করার বিষয়টিও উল্লেখ্য। তিনি এরশাদের মন্ত্রিসভায় এবং শেখ হাসিনার তৃতীয় ও চতুর্থ মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রণালয়, সেচ, পানি উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। তার ব্যক্তিগত জীবনের বিবরণে জানা যায় তার এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদের রাজনৈতিক জীবন এবং কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হলেও অন্যান্য তথ্য সম্পূর্ণভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে আরো তথ্য পাওয়া গেলে এই জীবনীটি আরো সম্পূর্ণ করা যাবে।