আনন জামান: একজন বাংলাদেশী নাট্যকার ও গবেষক
আনন জামান (জন্ম: ১২ অক্টোবর ১৯৭৮) একজন প্রতিভাবান বাংলাদেশী নাট্যকার ও গবেষক। তিনি তার অসাধারণ নাটক রচনা এবং মঞ্চায়নের জন্য সুপরিচিত। মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোলাইডাংগা গ্রামে জন্মগ্রহণকারী আনন জামান প্রাথমিক শিক্ষা জীবনেই ছড়া ও কবিতা লেখা শুরু করেন।
তিনি ১৯৯৫-৯৬ সেশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগে এবং ১৯৯৬-৯৭ সেশনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক সেলিম আল দীনের তত্ত্বাবধানে তাঁর নাট্যচর্চা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা লাভ করে। ২০০৬ সালে একই বিভাগে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। নাটক নির্দেশনার ক্ষেত্রে আচার্য সেলিম আল দীন, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, আজাদ আবুল কালাম এবং ইউসুফ হাসান অর্কের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
আনন জামান বিভিন্ন নাট্যদলের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তিনি নিজেই কয়েকটি নাট্যদল প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত নাট্যদলগুলো হলো: হাকিম আলী গায়েন থিয়েটার (১৯৯৪), বুনন থিয়েটার (১৯৯৮), এবং নিরাভরণ থিয়েটার (২০০৮)। মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের সাথেও তিনি দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। তিনি নাটগীত ও গীতনাটকের মেলার প্রচলন এবং মুক্তমঞ্চ স্থাপন করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে 'শিখন্ডী কথা', 'সিক্রেট অব হিস্ট্রি', 'শ্রাবণ ট্রাজেডি', 'রাইকথকতা' ইত্যাদি। 'শিখন্ডী কথা' মঞ্চনাটক, টেলিভিশন নাটক এবং চলচ্চিত্র তিনটি মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ২০১৩ সালে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। তার উল্লেখযোগ্য টেলিভিশন নাটকের মধ্যে 'রাত্রি রথের উল্টেপীট', 'রাত্রির খামোখা খেয়াল', 'আশালতা ও মন্দ বাতাসের গল্প' উল্লেখযোগ্য।
আনন জামান তার গবেষণাধর্মী কাজের জন্যও পরিচিত। বর্তমানে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। তার নাটকগুলো সমাজের বিভিন্ন সমস্যা এবং ঐতিহাসিক ঘটনার উপর নির্ভর করে রচিত।
আনন জামানের জীবনী ও কর্ম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই নিবন্ধটি আপডেট করব।