আতিশি মারলেনা সিং: দিল্লির তরুণ ও উদীয়মান নেত্রী
আতিশি মারলেনা সিং, একজন বিশিষ্ট ভারতীয় রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক কর্মী এবং দিল্লির কালকাজি থেকে নির্বাচিত বিধায়ক। তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পদত্যাগের পর দিল্লির ৮ম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮১ সালের ৮ জুন জন্মগ্রহণকারী আতিশি দিল্লির একটি উচ্চশিক্ষিত পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। তার পিতা বিজয় সিং ও মাতা তৃপ্তা ওয়াহি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। আতিশি নামের সাথে মার্লেনা নামটি যুক্ত ছিল, যা মার্ক্স ও লেনিনের নামের সমন্বয়ে গঠিত। তবে পরবর্তীকালে তিনি 'মার্লেনা' অংশটি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র 'আতিশি' নামে পরিচিত হন।
তার শিক্ষা জীবন শুরু হয় নয়াদিল্লির স্প্রিংডেলস স্কুল ও সেন্ট স্টিফেনস কলেজ থেকে। ২০০৩ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০০৫ সালে রোডস স্কলারশিপ লাভ করেন।
২০১৩ সালে আম আদমি পার্টিতে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। তিনি দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং ২০১৫ সালে মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া জেলার জল সত্যাগ্রহে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব দিল্লি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও পরাজিত হন। তবে ২০২০ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কালকাজি কেন্দ্র থেকে বিজয়ী হন।
দিল্লি সরকারের মন্ত্রিসভায় শিক্ষা, গণপূর্ত, সংস্কৃতি এবং পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি দিল্লির সরকারি স্কুলগুলোতে উল্লেখযোগ্য শিক্ষা সংস্কারের উদ্যোগ নেন। উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আবগারি মামলায় মনীশ সিসোদিয়া গ্রেফতারের পর তিনি মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন।
আতিশি দিল্লির এনসিটি সরকারের ফ্ল্যাগশিপ 'মহল্লা সভা' প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি নবায়নযোগ্য শক্তি, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, এবং স্থায়িত্ব সম্পর্কিত নীতিগুলোতেও কাজ করেছেন। তার উপর মানহানির মামলাও হয়েছে।
২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পদত্যাগের পর তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি দিল্লির তৃতীয় নারী মুখ্যমন্ত্রী এবং সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী। তার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত।