আজিজপুর: একটি বহুমুখী পরিচয়
আজিজপুর নামটি শুনলেই অনেকের কাছেই একাধিক ছবি ভেসে উঠতে পারে। এটি একটি স্থানের নাম হলেও, এর সাথে জড়িত ঘটনাবলী ও ব্যক্তিবর্গের কারণে এর অর্থ বহুমুখী। সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত আজিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এই নামটির সাথে সবচেয়ে বেশি জড়িত। এই বিদ্যালয়টি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় একটি ভোট কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছিল, এবং সেখানেই ঘটেছিল একটি দুঃখজনক ঘটনা।
২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর, এই ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট প্রতিরোধ করার সময় উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সুহেল গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী হিসেবে বালাগঞ্জের পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন নুরু পরবর্তীতে গ্রেফতার হন এবং আদালতপাড়ায় তার ওপর হামলা হয়। এই ঘটনাটি আজিজপুরের নামকে একটি রাজনৈতিক সহিংসতার সাথে জড়িত করে।
আজিজপুরের আরেকটি দিক উঠে এসেছে ২০১৮ সালের একই ঘটনার পর একাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও, সিলেটের বালাগঞ্জে জন্মগত ঠোঁট কাটা, আংশিক নাড়িভুঁড়ি বাহিরসহ শরীরে বিভিন্ন ত্রুটি নিয়ে এক শিশুর জন্মের ঘটনা আজিজপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাথে যুক্ত। এই ঘটনাটি আজিজপুরকে একটি চিকিৎসা সংক্রান্ত ঘটনার সাথেও জড়িত করে।
এভাবে, আজিজপুর নামটি এককভাবে কোন স্থানের বর্ণনা দেয় না, বরং এর সাথে জড়িত রাজনৈতিক ঘটনা, চিকিৎসা সংক্রান্ত ঘটনা এবং একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নির্দেশ করে। এই বহুমুখীত্বের কারণে আজিজপুরের একক সংজ্ঞা দেওয়া কঠিন, তবে উপরোক্ত তথ্যসমূহের আলোকে এর একটি সম্পূর্ণ চিত্র উঠে আসে।