আগৈলঝাড়া উপজেলা বরিশাল জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। এটি দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের অংশ। উত্তরে মাদারীপুরের কালকিনি ও ডাসার উপজেলা, দক্ষিণে উজিরপুর উপজেলা, পূর্বে গৌরনদী ও উজিরপুর উপজেলা এবং পশ্চিমে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা অবস্থিত। ১৯৮৩ সালের ৭ই নভেম্বর এটি উপজেলা হিসেবে ঘোষিত হয়। এর আগে ১৯৮১ সালের ১৬ই জুন থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আগৈলঝাড়া ১৫৫.৪৭ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত।
ঐতিহাসিক দিক থেকে, ১৬শ শতকে বাকলা সাবী খানের ফৌজদার গাইলা গ্রামে মুঘল সেনাদের সাথে বসতি স্থাপন করে। ১৯২১ সালে খান বাহাদুর হাশেম আলী খানের সভাপতিত্বে এবং এ.কে. ফজলুল হকের পরামর্শে আগৈলঝাড়া হাই ইংলিশ স্কুলে একটি ঐতিহাসিক কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় কদলদহ গ্রামে ৮ জন নিহত হন।
জনসংখ্যার দিক থেকে, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী আগৈলঝাড়ার জনসংখ্যা ১,৪৯,৪৫৬ জন। পুরুষ ৭২,৪২১ জন এবং মহিলা ৭৭,০৩৫ জন। মোট পরিবার ৩২,৮৩৯টি। সাক্ষরতার হার ৬২.৯%। ধর্মীয়ভাবে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরা বাস করেন। বরিশাল জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে আগৈলঝাড়ায় হিন্দুদের শতাংশ সবচেয়ে বেশি।
আগৈলঝাড়া ৫টি ইউনিয়নে বিভক্ত: বাগধা, বাকাল, গাইলা, রাজিহের এবং রতনপুর। এখানে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজ, আস্কার কালিবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ, গোইলা হাই স্কুল এবং আগৈলঝাড়া বি.এইচ.পি. একাডেমি।