আইসিডিডিআরবি হাসপাতাল

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৮:৩৬ এএম

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত একটি বিশ্বমানের চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ১৯৬০ সালে 'পাকিস্তান কলেরা রিসার্চ ল্যাবরেটরি' (পিসিআরএল) নামে যাত্রা শুরু করে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর 'কলেরা রিসার্চ ল্যাবরেটরি' নামে পরিচিতি পায় এবং ১৯৭৯ সালে বর্তমান নামে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাণঘাতী কলেরা রোগের উপর গবেষণা।

আইসিডিডিআরবি'র গুরুত্বপূর্ণ অবদানের মধ্যে রয়েছে ওরস্যালাইন (খাওয়ার স্যালাইন) উদ্ভাবন, যা তীব্র ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জীবন রক্ষায় অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়াও ডায়রিয়া চিকিৎসায় জিংকের ব্যবহার, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, মুখে খাওয়া কলেরার টিকা উদ্ভাবন এবং তীব্র অপুষ্টির চিকিৎসায় অত্যাধুনিক পদ্ধতি আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে আইসিডিডিআরবি।

আইসিডিডিআরবি ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত। এর অধীনে ঢাকা শহরের পাশাপাশি ঢাকা থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে চাঁদপুরের মতলবে একটি মাঠ পর্যায়ের গবেষণা কেন্দ্রও আছে। এ কেন্দ্র প্রায় দুই লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর নজরদারি ও সমীক্ষা পরিচালনা করে। আইসিডিডিআরবি ঢাকা হাসপাতালে বার্ষিক প্রায় ১৪০,০০০ রোগীর চিকিৎসা করা হয়। মতলব হাসপাতালে প্রতি বছর ৩০,০০০ এর বেশি রোগী চিকিৎসা পায়। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে অর্থ পেয়ে এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। আইসিডিডিআরবি'র গবেষণা ও চিকিৎসা কার্যক্রম সারা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এবং এটি বহু মানুষের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির ফলে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত
  • ওরস্যালাইন উদ্ভাবন
  • ডায়রিয়া চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
  • জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অবদান
  • মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ
  • ঢাকা ও মতলবে হাসপাতাল

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - আইসিডিডিআরবি হাসপাতাল

৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০০ এএম

আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে শীতের প্রকোপে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫

আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।