তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি একটি আধা-সরকারি পত্রের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, কিছু অসাধু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী তাঁর নাম ও আত্মীয় পরিচয় ব্যবহার করে সরকারি দফতরে তদবির করছে। এই অসাধু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগুলোর পরিচয় এখনও অজ্ঞাত, তবে তাদের কার্যকলাপের ফলে উপদেষ্টার সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধে সচিবদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তদবিরের সময় নাহিদ ইসলামের স্বাক্ষর জালিয়াতিরও ঘটনা ঘটেছে। এই অসাধু ব্যক্তিদের কার্যকলাপের বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশিত হয়নি। আমরা যখনই আরো তথ্য পাবো, তখন আপনাদের জানানো হবে।
চট্টগ্রামে ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর কিছু অসাধু ব্যক্তি ভুয়া ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে অনৈতিক সুবিধা অর্জন করছে। এই অসাধু ব্যক্তিদের মধ্যে কিছু পুলিশ কর্মকর্তা, আইনজীবী ও রাজনৈতিক নেতাও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) এ ব্যাপারে তদন্ত করছে এবং জনগণকে সতর্ক করেছে। এই মামলাগুলি কোটি কোটি টাকার একটি বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ এবং নিরীহ ব্যক্তিদের এই মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মামলার বাদীরা আসামীদের চিনেনও না।
আরও কিছু অসাধু ব্যক্তি ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়াও, কিছু অসাধু ব্যক্তি ও দালালচক্র রোহিঙ্গাদের ভোটার বানানোর কাজে সহযোগিতা করছে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।