অর্থায়ন: অর্থের বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা
অর্থায়ন হচ্ছে অর্থ ব্যবস্থাপনার বিজ্ঞান, যা ব্যবসায়িক, ব্যক্তিগত ও সরকারি স্তরে অর্থের উৎস, বিনিয়োগ ও ব্যবহার নিয়ে কাজ করে। এটি কেবল অর্থের সংগ্রহই নয়, বরং অর্থের দক্ষ ব্যবহার ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনারও অন্তর্ভুক্ত। আধুনিক অর্থায়ন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে অর্থের বিকল্প উৎস, বিপণন ও ব্যবস্থাপনা, এবং বিভিন্ন আর্থিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। এর মূলনীতিমালা রাষ্ট্রীয় নীতি, আন্তর্জাতিক বাজার ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।
ব্যবসায়িক অর্থায়ন: কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা পরিচালনা ও সম্প্রসারণের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে। এর মধ্যে রয়েছে ঋণ, ইকুইটি, বন্ড ইস্যু ইত্যাদি। ব্যক্তিগত অর্থায়ন: ব্যক্তিদের তাদের ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণের জন্য অর্থ ব্যবস্থাপনা। এতে রয়েছে সঞ্চয়, বিনিয়োগ, ঋণগ্রহণ ইত্যাদি। সরকারি অর্থায়ন: সরকার জনকল্যাণমূলক কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য কর, ঋণ ও অন্যান্য উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে।
অর্থায়নের ইতিহাস: অর্থায়নের ধারণা প্রাচীনকাল থেকেই বিদ্যমান। প্রাচীন মিশর, রোম ও চীনে অর্থের ব্যবস্থাপনা ও ঋণ ব্যবস্থার প্রচলন ছিল। আধুনিক অর্থায়ন ব্যবস্থার বিকাশে ইউরোপের ব্যাংকিং ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থা আরও জটিল ও আধুনিক হয়ে উঠে।
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: অর্থায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা। কোনো বিনিয়োগ বা কর্মসূচীর সাথে জড়িত ঝুঁকিগুলি শনাক্ত করে, মূল্যায়ন করে এবং তাদের কমানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
উপসংহার: অর্থায়ন ব্যবস্থাপনার জন্য বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতা ও সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। এটি ব্যক্তি, ব্যবসা ও সরকারের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।