অর্থনৈতিক সম্পর্ক

আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:২৩ পিএম

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক: একটি ব্যাপক বিশ্লেষণ

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক একটি জটিল ও বহুমুখী বিষয়, যা দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তার অংশগ্রহণকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় পর্যায়ে বিদ্যমান। দেশটি বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক:

বাংলাদেশ-ভারত অর্থনৈতিক সম্পর্ক: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বর্তমানে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শক্তি, যোগাযোগ, শিক্ষা ও সংস্কৃতির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ক বিস্তৃত। তবে, বাণিজ্য ঘাটতি এবং অশুল্ক বাধা সম্পর্কের একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ। বিভিন্ন চুক্তি ও প্রকল্প, যেমন বিবিআইএন মোটরযান চুক্তি ও পদ্মা সেতু নির্মাণ, দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সম্পর্ক: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একটি প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। ২০২৪ সালে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়নে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্রদান করেছে, যা সুশাসন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে। ইউএসএআইডির সাথে চুক্তি এবং বহুমুখী সহযোগিতা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে।

বহুপাক্ষিক সম্পর্ক:

বিমসটেক: বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের সহযোগিতামূলক সংগঠন বিমসটেকের সদস্য। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের সাথে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করে। যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিমসটেকের প্রধান লক্ষ্য।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি):

বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) দেশের বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক তত্ত্বাবধান করে। ১৯৯০ সালে বহিঃসম্পদ বিভাগ থেকে ইআরডির উত্থান ঘটে। ইআরডি ১০টি অনুবিভাগের মাধ্যমে বৈদেশিক সহায়তা, ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে সম্পর্ক তত্ত্বাবধান করে। মোঃ শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বর্তমানে ইআরডির সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

চ্যালেঞ্জ:

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য ঘাটতি, অশুল্ক বাধা, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য দেশটির সুস্পষ্ট নীতি ও কৌশল প্রয়োজন।

উপসংহার:

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে দেশটির অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন, সুশাসন, বৈশ্বিক অর্থনীতির সাথে যোগাযোগ এবং বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সম্পর্কের উপর।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে।
  • বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শক্তি ও যোগাযোগের উপর নির্ভরশীল।
  • যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করে।
  • বিমসটেক বাংলাদেশের অঞ্চলীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।
  • অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) দেশের বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক তত্ত্বাবধান করে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - অর্থনৈতিক সম্পর্ক

27/12/2024

এই সংযোগ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের আলোচনা হয়েছে।