অমিত রায়

আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ এএম

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উপন্যাস ‘শেষের কবিতা’র অন্যতম প্রধান চরিত্র অমিত রায়। উপন্যাসে তিনি চিত্রিত হয়েছেন একজন বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার হিসেবে, যিনি প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত ও রোমান্টিক। তর্কে তিনি অত্যন্ত সিদ্ধহস্ত। উপন্যাসে বর্ণিত ঘটনা অনুসারে, অমিত একবার শিলং পাহাড়ে বেড়াতে যান এবং সেখানেই এক মোটর দুর্ঘটনার ফলে লাবণ্য নামে একজনের সাথে পরিচয় হয়। এই পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে প্রণয়ের সৃষ্টি হয়, কিন্তু বাস্তববাদী লাবণ্য বুঝতে পারেন অমিত একজন পুরোপুরি রোমান্টিক ব্যক্তি, যার সাথে প্রতিদিনের জীবনের হিসেব-নিকাশ মেলে না। এই সময়ে অমিতের আগের প্রেমিকা কেটি (কেতকী) শিলংয়ে উপস্থিত হন এবং অমিতের দেওয়া আংটি দেখিয়ে তাকে নিজের বলে দাবী করেন। এর ফলে লাবণ্য ও অমিতের বিবাহ ভেঙে যায়। শেষ পর্যন্ত অমিত স্বীকার করেন যে, লাবণ্যের প্রেম দিঘির জলের মতো, যা ঘরে আনা যায় না, কেবলমাত্র তাতে মন সাঁতার কাটাতে পারে। অন্যদিকে কেতকীর সাথে সম্পর্ক ঘড়ায় তোলা জলের মতো, যেটি প্রতিদিন ব্যবহার করা যায়। উপন্যাসে অমিতের চরিত্র বেশ জটিল। তিনি কবিদের প্রতি সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতাকে নিয়েও তিনি নানা মতামত ব্যক্ত করেন। উপন্যাসে তার ব্যক্তিত্বের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে তিনি দেখা যায় কবি, পরিহাসপ্রিয়, নারী সম্পর্কে উদাসীন নয় কিন্তু নির্মোহ, স্বাধীনচেতা এবং একই সাথে রোমান্টিক ও বাস্তববাদী। অমিতের পিতা ছিলেন একজন সফল ব্যারিস্টার। অমিত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। অমিতের চরিত্রের বৈশিষ্ট্য হলো তার একটু অন্যরকম চিন্তাভাবনা ও জীবনযাত্রা। তিনি কবিতা লেখেন নিবারণ চক্রবর্তী ছদ্মনামে। উপন্যাসে অমিতের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা, তার প্রেম, সম্পর্ক ও দর্শন তুলে ধরা হয়েছে। উপন্যাস ছাড়াও, নাটকে ‘শেষের কবিতা’য় অমিত রায়ের চরিত্রটিকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তার রবীন্দ্র বিরোধী মনোভাব নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরা হয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • অমিত রায় ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসের একজন প্রধান চরিত্র
  • তিনি একজন বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার
  • লাবণ্য ও কেতকী (কেটি) তার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
  • তিনি রোমান্টিক ও বাস্তববাদী দুটোই
  • তিনি নিবারণ চক্রবর্তী ছদ্মনামে কবিতা লেখেন
  • অমিতের চরিত্র জটিল ও বহুমুখী

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - অমিত রায়