অনৈতিক সম্পর্ক: বিভিন্ন দিক ও ঘটনা
অনৈতিক সম্পর্ক একটি বহুমুখী বিষয়, যা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ঘটতে পারে। এটি শুধুমাত্র যৌন সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং ক্ষমতার অপব্যবহার, আর্থিক অনিয়ম, প্রতারণা, এমনকি নৈতিকতা লঙ্ঘনকারী অন্যান্য কাজকেও অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। এই প্রবন্ধে আমরা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা তুলে ধরবো:
ঘটনা ১: যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডে এক উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষিকা মেলেশা কার্টিস ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রের সাথে যৌন সম্পর্কে জড়িত থাকার অপরাধে ৩০ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তদন্তে জানা যায়, তিনি ওই ছাত্রকে অ্যালকোহল ও গাঁজা সেবন করিয়েছিলেন এবং তাদের মধ্যে ২০ বারের বেশি শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। তার এই কাজকে ‘অপ্রাপ্তবয়স্কের প্রতি যৌন নিপীড়ন’ ও ‘পেশাগত নীতিমালা লঙ্ঘন’ হিসেবে আদালত বিবেচনা করেছে।
ঘটনা ২: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক মাস্টার্স ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে ছাত্রীর অভিযোগের পর তাকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগে উঠেছে, শিক্ষক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।
ঘটনা ৩: সিঙ্গাপুরের পার্লামেন্টের স্পিকার তান চুয়ান জিন ও একজন নারী সংসদ সদস্য চেং লি হুই ২০২৩ সালের জুলাই মাসে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে পদত্যাগ করেন। প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লং জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে তাদের সম্পর্কের ইতি টানার জন্য বলা হয়েছিল, কিন্তু তারা তা অব্যাহত রাখেন।
ঘটনা ৪: বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরদের বিচারে আদালত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে। আদালতের রায় অনুসারে, মিন্নির নয়নবন্ড নামের এক ব্যক্তির সাথে অনৈতিক সম্পর্ক এবং বেপরোয়া জীবনযাপন এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত ঘটনাগুলি শুধুমাত্র কিছু উদাহরণ। অনৈতিক সম্পর্কের বিভিন্ন রূপ ও কারণ রয়েছে এবং সমাজে এর প্রভাব বিস্তৃত। আরো বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা এই প্রবন্ধটি আপডেট করবো।