পরকীয়া: এক অসমাপ্ত অধ্যায়
বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ থাকা অবস্থায় অন্য কারও সাথে প্রেম, যৌন সম্পর্ক বা যৌন কর্মকাণ্ডকে পরকীয়া বলা হয়। এটি একটি জটিল ও বহুমুখী বিষয়, যা সমাজে নানা ধরণের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ধর্মীয়, নৈতিক ও আইনি দিক থেকে পরকীয়া বিতর্কিত একটি বিষয়। কিছু সংস্কৃতিতে এটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হলেও অন্যত্র এটির জন্য তেমন কোন শাস্তি নেই।
পরকীয়ার কারণ ও প্রভাব:
পরকীয়ার কারণ অনেক। দাম্পত্য জীবনে অসন্তোষ, যৌন অসন্তোষ, যোগাযোগের অভাব, পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি, একাকীত্ব, স্বীকৃতির অভাব, উত্তেজনা, নতুনত্বের আকাঙ্খা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে মানুষ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়তে পারে।
পরকীয়ার প্রভাব গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এটি দাম্পত্য সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, পরিবার ভেঙে যেতে পারে, সন্তানদের মানসিক ক্ষতি হতে পারে, সমাজে মান-সম্মান হানি হতে পারে। এছাড়াও, পরকীয়ার সাথে জড়িত ব্যক্তিরা মানসিক যন্ত্রণা, অপরাধবোধ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতায় ভোগেন।
সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও আইনি দিক:
সমাজে পরকীয়ার প্রতি নানা ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি বিদ্যমান। কিছু সমাজে পরকীয়াকে ক্ষমা করা হয় না, অন্যদিকে কিছু সমাজে এটিকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা হয়। আইনি দিক থেকেও বিভিন্ন দেশে পরকীয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের শাস্তি রয়েছে। কিছু দেশে এটি অপরাধ হলেও অন্যত্র নয়।
নিরাপদ দাম্পত্যের জন্য:
দাম্পত্য জীবনে সুস্থ যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, ভালোবাসা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা পরকীয়া রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দাম্পত্য সমস্যা সমাধানের জন্য পেশাদার পরামর্শ গ্রহণ করাও উপকারী হতে পারে।
উপসংহার:
পরকীয়া একটি জটিল সমস্যা যা দাম্পত্য জীবন ও সমাজের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। এটির কারণ ও প্রভাব বুঝে সচেতনতার মাধ্যমে এ থেকে দূরে থাকা এবং সুস্থ দাম্পত্য জীবন গঠন করা সম্ভব।