অনিল শর্মা: একজন সফল ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা
অনিল শর্মা ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী ও সফল চলচ্চিত্র পরিচালক এবং প্রযোজক। উত্তরপ্রদেশের মথুরায় জন্মগ্রহণকারী শর্মা তার দাদা, পণ্ডিত দালচাঁদ, একজন জ্যোতিষীর প্রভাব বহন করে বেড়ে ওঠেন। মুম্বাইয়ের খালসা কলেজ থেকে বিএসসি ডিগ্রী লাভের পর, তিনি হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে ১৮ বছর বয়সে সহকারী পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। বলদেব রাজ চোপড়ার 'পতি পত্নী অউর ভো', 'দ্য বার্নিং ট্রেন' এবং 'ইনসাফ কা তারাজু' চলচ্চিত্রে সহকারী হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে তিনি অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
১৯৮০ সালে, মাত্র ২১ বছর বয়সে 'শ্রদ্ধান্জলি' চলচ্চিত্র দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন শর্মা। এরপর 'হুকুমত' (১৯৮৭) ও 'তহলকা' (১৯৯২) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি দর্শকদের নজর কাড়েন। 'তহলকা'-র সাফল্যের পর কিছুকালের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ থেকে বিরতি নিয়ে মুম্বাইতে একটি বিশাল স্টুডিও নির্মাণের পরিকল্পনা করেন তিনি। যদিও পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হয়নি, তবুও তিনি 'মহারাজা' চলচ্চিত্র দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে ফিরে আসেন।
অনিল শর্মার চলচ্চিত্র জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছে 'গদর: এক প্রেম কথা' (২০০১) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। সানি দেওল ও আমিষা পটেল অভিনীত এই চলচ্চিত্র হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় সফলতা অর্জন করে। এরপর 'দ্য হিরো: লাভ স্টোরি অফ এ স্পাই', 'আপনে', 'বীর' এবং 'সিং সাহেব দ্য গ্রেট' সহ অন্যান্য ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। ২০১৮ সালে 'জেনিয়াস' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি তার পুত্র উৎকর্ষ শর্মাকে চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন। এবং সম্প্রতি ২০২৩ সালে 'গদর ২' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আবারো সবার নজর কেড়েছেন তিনি। এই চলচ্চিত্র বক্স অফিসে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে।
অনিল শর্মার চলচ্চিত্রগুলোতে প্রেম, দেশপ্রেম এবং পারিবারিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটেছে। তার পরিচালনা কৌশল এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের দক্ষতা তাকে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে অনন্য স্থান দান করেছে।