অধ্যাপক মো. রমজান আলী: একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে অধ্যাপক মো. রমজান আলী একজন সক্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কিশোরগঞ্জ জেলা আমীর হিসেবে পরিচিত। তার জন্ম তারিখ, বয়স, জাতিগত পরিচয়, এবং পরিবারের তথ্য প্রকাশ্যে উপলব্ধ নেই। তবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি শ্রমিকদের রাজনৈতিক দলের দ্বারা অপব্যবহারের বিরুদ্ধে মুখর এবং শ্রমিক কল্যাণে কাজ করেন।
২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর, কিশোরগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি বক্তব্য রাখেন। এই বক্তব্যে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা শ্রমিকদের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহারের নিন্দা জানান এবং শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা হিসাবেও কাজ করেছেন।
২০২৪ সালের ১৯ অক্টোবর, কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অধ্যাপক রমজান আলী সভাপতিত্ব করেন। এই সম্মেলন দীর্ঘ ১৬ বছর পর প্রকাশ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালের ৮ নভেম্বর, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কিশোরগঞ্জ জেলা আমীর হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
অধ্যাপক রমজান আলীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য বিভিন্ন মহলে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তার কাজের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তীব্র বিরোধিতার মধ্য দিয়েই তার রাজনৈতিক জীবন পরিচালিত হচ্ছে।