ক্রিকেটের ইতিহাসে ‘পাঁচ উইকেট’ অর্জন একজন বোলারের জন্য অসাধারণ সাফল্য। একটি ইনিংসে একজন বোলার যখন পাঁচ বা তার বেশি ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারে, তখন তাকে ‘পাঁচ উইকেট’ অর্জন বলে। একে ‘ফাইভ-ফর’ বা ‘ফিফার’ ও বলা হয়। টেস্ট ক্রিকেটে এটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকে ৫ উইকেট: ২২ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত ১৫৬ জন ক্রিকেটার তাদের টেস্ট অভিষেকে ৫ উইকেট নিতে পেরেছেন, যার মধ্যে ৭৭ জন ইংরেজ ক্রিকেটার। আলফ্রেড শ ইংল্যান্ডের পক্ষে প্রথম ক্রিকেটার যিনি টেস্ট অভিষেকে ৫/৩৮ বোলিং পরিসংখ্যান নিয়ে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। ডমিনিক কর্ক ৭/৪৩ নিয়ে ইংরেজদের মধ্যে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। টবি রোল্যান্ড-জোন্স ইংরেজ বোলারদের মধ্যে সর্বশেষ ৫ উইকেট লাভকারী।
ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেকে ৫ উইকেট: অক্টোবর ২০১৬ পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটে চারশতাধিক পাঁচ উইকেট লাভের ঘটনা ঘটেছে। ১৩ জন খেলোয়াড় তাদের ওডিআই অভিষেকেই ৫ উইকেট পেয়েছেন। শ্রীলঙ্কার ইউভাইস কারনাইন একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়া প্রথম বোলার। কানাডার অস্টিন কডরিংটন ক্রিকেট বিশ্বকাপে অভিষেকে ৫ উইকেট পেয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা অভিষেকে ৬/১৬ বোলিং পরিসংখ্যান নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট লাভ করেছেন। বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদের পর মুস্তাফিজুর রহমান দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। ইংল্যান্ডের জ্যাক বলও অভিষেকে ৫ উইকেট পেয়েছেন।
নাহিদ রানার কৃতিত্ব: নাহিদ রানা টেস্ট ক্রিকেটের ষষ্ঠ ম্যাচে প্রথমবার এক ইনিংসে ৫ উইকেট লাভ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে তিনি ৫/৬১ বোলিং পরিসংখ্যান নিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।
তাসকিন আহমেদের কৃতিত্ব: তাসকিন আহমেদ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। এটি টেস্ট ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশের প্রথম পেসার।
সুফিয়ান মুকিমের কৃতিত্ব: পাকিস্তানের সুফিয়ান মুকিম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৩ রানে ৫ উইকেট লাভ করেছেন, যা পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সেরা বোলিং।