গাড়াবাড়িয়া-হিতিমপাড়া: ভৈরবের বন্ধন ও ব্রিজের অভাবে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া ও হিতিমপাড়া এলাকা ভৈরব নদীর দুই পাড়ে অবস্থিত। দীর্ঘদিন ধরে এই দুই এলাকার মানুষ ভৈরব নদীর উপর একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন। নদীটি মেহেরপুর জেলার প্রাচীনতম ও প্রধান নদী, যা পশ্চিমবঙ্গের জলাঙ্গী নদীর একটি শাখা হিসেবে বিবেচিত হয়। ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে, ফানডেন ব্রো ১৬৬০ সালের দিকে তার নকশায় ভৈরব নদীর উল্লেখ করেছিলেন।
বর্তমানে গাড়াবাড়িয়া-হিতিমপাড়ার কমপক্ষে ২০ টি গ্রামের মানুষ নদীর ওপর নৌকা ও বাঁশের সাঁকোর উপর নির্ভর করে যাতায়াত করছে। এতে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত, কৃষকদের কৃষিপণ্য বাজারে আনা, চিকিৎসাসেবা গ্রহণসহ দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজে অসুবিধা হচ্ছে। চৈত্র-বৈশাখ মাসে পানি কম থাকলেও আষাঢ় মাসের শুরুতেই নদীতে পানির মাত্রা বেড়ে যায় যা যাতায়াতে আরও জটিলতা তৈরি করে।
স্থানীয়রা জানান, গাড়াবাড়িয়া-হিতিমপাড়া ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সংসদ সদস্য সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন করা হলেও কোন স্থায়ী সমাধান দেওয়া সম্ভব হয়নি। হিতিমপাড়া, ষোলমারী, শুভরাজপুর, কুতুবপুর, রামদাসপুর, গাড়াবাড়িয়া, কালিগাংনী, ধলা, নওপাড়া, ভিটাড়াপাড়া, কুরবাড়িয়া সহ অনেক গ্রামের জনগণ এই সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বর্তমানে একটি বাঁশের তৈরি অস্থায়ী সাঁকোর উপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত করছে স্থানীয়রা। এই ব্রিজ নির্মাণের ফলে দুটি উপজেলার (সদর ও গাংনী) ১৫টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হবে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবায় সুবিধা সহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে এর গুরুত্ব অপরিসীম। আশা করা যায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই দীর্ঘদিনের দাবী মেনে শীঘ্রই একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করবে। আমরা আপনাদের আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে আপডেট করব।