হরিরামপুর উপজেলা, মানিকগঞ্জ

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
নামান্তরে:
হরিরামপুর উপজেলা মানিকগঞ্জ
হরিরামপুর উপজেলা, মানিকগঞ্জ

হরিরামপুর উপজেলা, মানিকগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। উত্তরে শিবালয় ও ঘিওর উপজেলা এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা, দক্ষিণে ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন ও ফরিদপুর সদর উপজেলা, পূর্বে মানিকগঞ্জ সদর, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলা এবং পশ্চিমে শিবালয়, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ও ফরিদপুর সদর উপজেলা অবস্থিত। এই উপজেলার আয়তন ২৪৪.৩০ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ১,৩৯,৩১৮ জন। পুরুষ ৬৫,৮১৫ জন এবং মহিলা ৭৩,৫০৩ জন। ধর্মীয়ভাবে বেশিরভাগ লোকই মুসলিম (১২৩,১৯৪)। হিন্দু ১৬,১০৫, খ্রিস্টান ১১ এবং অন্যান্য ৮ জন।

ঐতিহাসিকভাবে, হরিরামপুর থানা ১৮৪৫ সালে গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় সুতালড়ি ও হরিণায় পাকিস্তানী সেনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াই হয়েছিল। ১৩ ডিসেম্বর হরিরামপুর শত্রুমুক্ত হয়। এই উপজেলায় লোকমানিয়া দরগাহ (ঝিটকা) এবং মুসা খাঁ'র দুর্গ (যাত্রাপুর) যেসব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে।

অর্থনীতির দিক থেকে, কৃষিই হরিরামপুরের প্রধান উৎস। ধান, পাট, গম, সরিষা, পিঁয়াজ, রসুন এবং চীনাবাদাম উল্লেখযোগ্য ফসল। মৎস্য, গবাদিপশু এবং হাঁস-মুরগির খামারও রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য পাকা রাস্তা ৭৬ কিমি, আধাপাকা ৭ কিমি এবং কাঁচা রাস্তা ২৬৪ কিমি। নৌপথও ২৫ কিমি।

শিক্ষার দিক থেকে, উপজেলায় ৩টি কলেজ, ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ১টি মাদ্রাসা রয়েছে। বিচারপতি নুরুল ইসলাম কলেজ, এমএ রউফ ডিগ্রী কলেজ, ঝিটকা খাজা রহমত আলী ডিগ্রি কলেজ, পাটগ্রাম অনাথবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ইব্রাহিমপুর ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঝিটকা আনন্দ মোহন উচ্চ বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

স্বাস্থ্যসেবার জন্য উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও ৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ৪টি পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র এবং ১টি এনজিও পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে, ১৮৯৭, ১৯৪৩ এবং ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ এবং ১৮৮৫ ও ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে এই উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। হরিরামপুর উপজেলার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য আরও গবেষণা করা প্রয়োজন। আমরা পরবর্তীতে আপডেট দিতে চেষ্টা করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • হরিরামপুর উপজেলা মানিকগঞ্জ জেলার অন্তর্গত।
  • ১৮৪৫ সালে থানা, ১৯৮৩ সালে উপজেলা হিসেবে গঠিত।
  • ২৪৪.৩০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন এবং প্রায় ১.৪ লক্ষ জনসংখ্যা।
  • কৃষি প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।
  • মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।