হবিগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সিলেট বিভাগের অন্যতম প্রশাসনিক অঞ্চল হলো হবিগঞ্জ জেলা। ২৫৭৪.৭ বর্গ কিমি আয়তনের এই জেলাটি উত্তরে সুনামগঞ্জ, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্বে মৌলভীবাজার ও সিলেট, এবং পশ্চিমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ জেলার সাথে সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে। ২০২৩৬০৩ জনসংখ্যার এই জেলায় মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের বসবাস রয়েছে। কুশিয়ারা, কালনী, খোয়াই, সুতাং, কোরাঙ্গী ও বরাক নদী জেলার প্রধান জলাশয়। ১৮৭৪ সালে মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবিগঞ্জ ১৯৮৪ সালে জেলায় রূপান্তরিত হয়।
হবিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট উপজেলার মধ্যে একটি। এর আয়তন ৬৬.৯৩ বর্গকিলোমিটার। এই উপজেলার নামকরণ হয়েছে সৈয়দ শায়েস্তা মিয়ার নামানুসারে, যিনি প্রায় তিনশত বছর আগে খোয়াই নদীর পশ্চিম তীরে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯০৩ সালে আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃক শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন স্থাপন এবং ১৯২৮-২৯ সালে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেলপথ সংযোগের ফলে শায়েস্তাগঞ্জের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। ১৯৯৮ সালে পৌরসভা হিসেবে গঠিত শায়েস্তাগঞ্জ ২০১৩ সাল থেকে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর এটি ৪৯২তম উপজেলা হিসাবে অনুমোদন পায়।
ঐতিহাসিক ঘটনা: হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম.এ.জি. ওসমানী মাধবপুরের তেলিয়াপাড়া চা বাগানে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেন। শায়েস্তাগঞ্জের ঐতিহাসিক তাৎপর্য সৈয়দ শায়েস্তা মিয়ার সাথে জড়িত।
অর্থনীতি: হবিগঞ্জ জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। ধান, গম, আখ, আলু, পাট, ইত্যাদি ফসল উৎপাদন হয়। শায়েস্তাগঞ্জের অর্থনীতিতে ব্যবসা, পরিবহন ও যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হবিগঞ্জে কিছু শিল্প কারখানাও রয়েছে।
শিক্ষা: হবিগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ উভয় এলাকাতেই বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। হবিগঞ্জ জেলায় কলেজ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা এবং শিক্ষা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রদত্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই লেখাটি লিখা হয়েছে। আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে লেখাটি সম্পূর্ণ ও আধুনিক করা হবে।