সোলাবিলিটি

সোলাবিলিটি: টেকসই উন্নয়ন সূচকের অন্যতম নির্মাতা

সোলাবিলিটি হলো সুইডেন ও দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান যা ২০১২ সাল থেকে বৈশ্বিক টেকসই প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা সূচক (গ্লোবাল সাস্টেনেবল কম্পেটিটিভনেস ইনডেক্স – জিএসসিআই) প্রকাশ করে আসছে। এই সূচকের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টেকসই ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা পরিমাপ করা হয়। জিএসসিআই সূচক তৈরির জন্য সোলাবিলিটি একটি দেশের ১৯০টি পরিমাণগত মানদণ্ড বিবেচনা করে। এই ১৯০টি মানদণ্ডকে ছয়টি দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাগ করে চূড়ান্ত সূচক তৈরি করে সোলাবিলিটি। এই ছয়টি দৃষ্টিভঙ্গি হলো: ন্যাচারাল ক্যাপিটাল, রিসোর্স ইফিসিয়েন্সি, সোশাল ক্যাপিটাল, ইন্টেলেকচুয়াল ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনোভেশন, ইকোনমিক সাস্টেনবিলিটি এবং গভর্নেন্স পারফরম্যান্স। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, ২০২৩ সালে জিএসসিআই-তে ১৩০তম স্থান থেকে চলতি বছরে ১১৬তম স্থানে উন্নতি হয়েছে। রিসোর্স ইফিসিয়েন্সি সূচকে বাংলাদেশ ৪৫তম স্থানে রয়েছে, যা ২০২৩ সালের ৯২তম স্থানের তুলনায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং জাতিসংঘের তথ্য ব্যবহার করে সোলাবিলিটি এই সূচক তৈরি করে। এই সূচক চারটি দেশ সরকারিভাবে নিজেদের টেকসই উন্নয়নের মূল্যায়ন করার জন্য ব্যবহার করে। জিএসসিআই একটি দেশের জিডিপির বিকল্প মানদণ্ড হিসেবেও বিবেচিত হয় এবং এতে ব্যবসা, বিনিয়োগের ঝুঁকি, নীতি নির্ধারণের অগ্রগতি প্রতিফলিত হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • সোলাবিলিটি একটি সুইডেন ও দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
  • ২০১২ সাল থেকে গ্লোবাল সাস্টেনেবল কম্পেটিটিভনেস ইনডেক্স (জিএসসিআই) প্রকাশ করে আসছে।
  • জিএসসিআই সূচকে ১৯০টি পরিমাণগত মানদণ্ড বিবেচনা করা হয়।
  • বাংলাদেশের জিএসসিআই স্কোর উন্নত হয়েছে।
  • রিসোর্স ইফিসিয়েন্সিতে বাংলাদেশের অবস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।