সৈয়দ মেহেদী হাসান নামটি দুই ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত বলে মনে হচ্ছে। প্রথম ব্যক্তি হলেন পাকিস্তানি গজল সম্রাট মেহেদী হাসান খান। দ্বিতীয় ব্যক্তি সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, তিনি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) একজন প্রকৌশলী ছিলেন বলে জানা গেছে।
মেহেদী হাসান খান (গজল সম্রাট):
মেহেদী হাসান খান (জন্ম: জুলাই ১৮, ১৯২৭ - মৃত্যু: জুন ১৩, ২০১২) পাকিস্তানের একজন বিখ্যাত গজল গায়ক এবং ললিউডের নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী ছিলেন। তিনি ‘গজল সম্রাট’ উপাধিতেও পরিচিত ছিলেন। জীবনের প্রথম দিকে তিনি গাড়ি ও সাইকেল মেকানিকের কাজ করতেন। রেডিও পাকিস্তানে সুযোগ পেয়ে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। তার গজলগুলি উপমহাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে জনপ্রিয় ছিল। তিনি পাকিস্তান সরকারের তমঘা-ই-ইমতিয়াজ, প্রাইড অফ পারফরম্যান্স এবং হিলাল-ই-ইমতিয়াজ, এবং নেপাল সরকারের গোর্খা দক্ষিণা বাহু উপাধিতে ভূষিত হন। তার পিতা ওস্তাদ আজিম খান এবং চাচা ওস্তাদ ইসমাইল খান ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ। ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের ফাজিলকায় তিনি তার প্রথম আনুষ্ঠানিক গান পরিবেশন করেন। ভারত বিভাগের পর তিনি পাকিস্তানে চলে যান। ১৯৫২ সালে তিনি রেডিও পাকিস্তানে গান গাওয়া শুরু করেন। লতা মঙ্গেশকরের সাথে তার একটি দ্বৈত গানের অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছে। তার ৯ ছেলে ও ৫ মেয়ে সন্তান ছিল।
সৈয়দ মেহেদী হাসান (এলজিইডি প্রকৌশলী):
এই ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তিনি এলজিইডি'র কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা প্রকৌশলী ছিলেন বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে বাবার নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অর্থের কাজ দিয়ে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে। তিনি ২০১৬ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকটি মন্তব্য করেছেন। এই মন্তব্যগুলির বিষয়বস্তু ছিল ৭১ এর রাজাকারদের প্রসঙ্গ। এ বিষয়ে আরও তথ্য জোগাড় করে আপনাকে পরবর্তীতে অবহিত করা হবে।