লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ৫৩ বস্তা সার লুটের ঘটনা: কৃষি কর্মকর্তা ও ছাত্রদল নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ৯ ডিসেম্বর রাতে ৫৩ বস্তা সার লুটের ঘটনায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা খন্দকার সেবিন, ছাত্রদল নেতা রাশেদুল ইসলাম সবুজ ও শরিফুল ইসলাম সবুজসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের অভিযানে পরে ৪৭ বস্তা সার উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার বিবরণ:
পাটগ্রাম উপজেলার থানা পাড়া এলাকার আশরাফুল ইসলাম কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাট এলাকার এক সার ব্যবসায়ীর কাছে অবৈধভাবে ৮০ বস্তা সার ক্রয় করেন। এই সারগুলো পাটগ্রাম থেকে কালীগঞ্জের উদ্দেশ্যে একটি পিকআপে করে নিয়ে যাওয়ার পথে হাতীবান্ধার বড়খাতা ইউনিয়নের দোয়ানী মোড় এলাকায় শামসুজ্জোহা খন্দকার সেবিনের উপস্থিতিতে রাশেদুল ও শরিফুলসহ কয়েকজন ৫৩ বস্তা সার লুট করে নিয়ে যায়। পুলিশের অভিযানে রাশেদুল ইসলাম সবুজের বাড়ি থেকে ১১ বস্তা ও তার দেওয়া তথ্যমতে আরও ৩৬ বস্তা সার উদ্ধার করা হয়।
তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা:
হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন নবী লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন এবং তদন্তের পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রদল রাশেদুল ও শরিফুলকে তাদের সকল পদবী থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা এই ঘটনার সাথে তার কোন জড়িততা নেই বলে দাবী করেছেন।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
- লুটের ঘটনাটি ঘটে ১০ ডিসেম্বর সোমবার রাতে।
- পুলিশ ১১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোরে ৪৭ বস্তা সার উদ্ধার করে।
- মামলায় ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
- সার লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কৃষি কর্মকর্তা, ছাত্রদল নেতাসহ মোট ১৮ জন আসামী।