সামিট কর্পোরেশন লিমিটেড এবং তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার লিমিটেড ১১১২ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) এর কাছে জড়িয়ে পড়েছে। এনবিআরের অভিযোগ, লভ্যাংশ পরিশোধে উৎস কর ফাঁকি দিয়েছে সামিট কর্পোরেশন। সামিট কর্পোরেশন লিমিটেড ২০ শতাংশ এবং সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল ১৫ শতাংশ উৎস কর ফাঁকির অভিযোগে জড়িত। সামিট গ্রুপের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তারা কখনো কর ফাঁকি দেয়নি এবং এনবিআরের নোটিশ পেলে আইন মেনে চলবে। তবে, এনবিআরের কর অঞ্চল-২ এর কর কমিশনার ব্যারিস্টার মুস্তাসিম বিল্লাহ ফারুকী জানিয়েছেন, সামিট গ্রুপকে দেওয়া উৎস কর ছাড় পর্যালোচনা করার জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করা হয়েছিল। তদন্তে দেখা গেছে, আগের প্রশাসন সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল এবং সামিট কর্পোরেশনকে লভ্যাংশ স্থানান্তরের উৎস কর থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল। এনবিআরের তদন্তে সামিট কর্পোরেশনকে দেওয়া লভ্যাংশে ৩১৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালকে দেওয়া লভ্যাংশে ৪৩৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা উৎস কর কর্তন করা হয়নি। মোট কর ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১১২ কোটি টাকা। এনবিআর উৎস কর অব্যাহতির সুবিধা প্রত্যাহার করে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান ও তার পরিবারের সদস্যদের লেনদেনের তথ্যও তদন্তের আওতায় ছিল। সামিট গ্রুপ জানিয়েছে, তাদের ৯২ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রয়েছে। এনবিআর এখন কর আদায়ের জন্য আইনি পদক্ষেপ নেবে।
সামিট কর্পোরেশন
মূল তথ্যাবলী:
- সামিট কর্পোরেশন ১১১২ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে জড়িত।
- লভ্যাংশ পরিশোধে উৎস কর ফাঁকির অভিযোগ।
- এনবিআর তদন্তে কর ফাঁকির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
- এনবিআর উৎস কর অব্যাহতি প্রত্যাহার করেছে।
- সামিট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খানের লেনদেনও তদন্তের আওতায় ছিল।