সাপ উদ্ধার

আপডেট: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৮ এএম

বাংলাদেশে সাপ উদ্ধার : একাধিক সংস্থা ও ব্যক্তির অবদান

সাপ উদ্ধার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা মানুষ ও সাপ উভয়ের জন্যই নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বাংলাদেশে একাধিক সংস্থা ও ব্যক্তি এই কাজে নিয়োজিত আছেন। তাদের কাজ ও অভিজ্ঞতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

কামরুন নাহার: হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কামরুন নাহার করোনা মহামারীর সময় থেকে সাপ উদ্ধারের কাজে নিয়োজিত। তিনি বাসাবাড়ি, হল, মেসসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক সাপ উদ্ধার করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির নির্বিষ ও বিষধর সাপ। উদ্ধারের পর তিনি স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে এবং সাপের সুস্থতা নিশ্চিত করে লোকালয় থেকে দূরে অবমুক্ত করেন। ক্যাম্পাসে সাপ দেখা গেলে তাকেই ডাকা হয়। তার দক্ষতা ও সাহসিকতায় শিক্ষকরা তাকে “সর্পকন্যা” বলে ডাকেন।

অ্যানিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে অ্যানিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালী নামক একটি সংগঠন সাপ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর উদ্ধার ও সংরক্ষণ কাজে নিয়োজিত। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ উদ্ধার করে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করে। তারা কলাপাড়া, লালুয়া ইউনিয়নের চরনিজর গ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে সাপ উদ্ধারের ঘটনায় অংশগ্রহণ করেছে। তাদের টিম লিডার রাকায়েত আহসান সাপ উদ্ধার প্রক্রিয়া ও প্রাণীদের রক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে জ্ঞানের প্রকাশ করেন।

উত্তরপ্রদেশের বনদপ্তর: উত্তরপ্রদেশের বিজনর এলাকার নওয়াদা গ্রামে দুটি বিশাল পাইথন উদ্ধার করেছে বনদপ্তর। প্রায় ১৫ ফুট লম্বা এবং প্রতিটি প্রায় ১৫০ কেজি ওজনের এই দুটি পাইথন উদ্ধার করার জন্য মাটি কাটার যন্ত্র (আর্থ মুভার) ব্যবহার করা হয়েছিল। উদ্ধারের পর পাইথন দুটিকে রামপুর ঠাকরার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মিনু ঢালী: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার একজন কৃষক মিনু ঢালী সাপ উদ্ধারে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ৩৬ বছর আগে স্বপ্নযোগে সাপ ধরার কৌশল শিখেছেন বলে জানান। তিনি দশ হাজারের বেশি সাপ উদ্ধার করেছেন এবং বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপের কামড়েও আহত হয়েছেন। তার উদ্ধারকৃত একটি রাসেলস ভাইপার ভেনম রিসার্চ সেন্টারে নেওয়া হয়েছিল। চট্টগ্রাম, বরিশাল, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তিনি সাপ উদ্ধার করতে গিয়েছেন।

বারেক মামুদ: মিনু ঢালীর কাছ থেকে সাপ ধরার কৌশল শিখে বারেক মামুদ ও সাপ উদ্ধারের কাজে নিয়োজিত। তিনি এক হাজারের বেশি সাপ উদ্ধার করেছেন।

ভেনম রিসার্চ সেন্টার: এই গবেষণা কেন্দ্র বিষাক্ত সাপের বিষ থেকে অ্যান্টিভেনম তৈরির জন্য সাপ সংগ্রহ করে। মিনু ঢালীর উদ্ধারকৃত একটি রাসেলস ভাইপার এই কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, এখানে উল্লেখিত তথ্য সাপ উদ্ধারের সাথে জড়িত সকল ব্যক্তি এবং সংস্থার সম্পূর্ণ তথ্য নয়। আরও তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • কামরুন নাহার শতাধিক সাপ উদ্ধার করেছেন
  • অ্যানিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ করে
  • উত্তরপ্রদেশে বিশাল পাইথন উদ্ধার
  • মিনু ঢালী দশ হাজারের বেশি সাপ উদ্ধার করেছেন
  • ভেনম রিসার্চ সেন্টার অ্যান্টিভেনম তৈরি করে

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - সাপ উদ্ধার

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

আমির হোসাইন শাওন সাপ উদ্ধার করে তাদের নিরাপদে আবাসস্থলে ফিরিয়ে দিচ্ছেন।