সজল দাস

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

বরিশালের নদী দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ও পরবর্তীতে মৃত্যু: সজল দাসের কাহিনী

গত ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশালের কীর্তনখোলা নদী ও লাহারহাট খালের সংযোগস্থলে একটি স্পিডবোট দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হন, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন ৩০ বছর বয়সী সজল দাস। তিনি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার উত্তর রহমতপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এবং ভোলার লালমোহন উপজেলায় ব্র্যাক ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন।

দুর্ঘটনার পর সজল দাসের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে, তার মোবাইল ফোন থেকে তার মায়ের কাছে 25,000 টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। সজলের চাচা শংকর দাস এ ঘটনায় বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পুলিশ তদন্তের পর প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় যে, সিম ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে এই টাকা দাবি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান চালানোর চেষ্টা করেন এবং পরে স্পিডবোটের চালক আল আমিন, অপর যাত্রী রাসেল, এবং জালিস মাহমুদ নামে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত স্পিডবোটটি ভোলার ভেদুরিয়া ঘাট থেকে বরিশালের ডিসি ঘাটের উদ্দেশ্যে ১০ জন যাত্রী নিয়ে রওনা হয়। লাহারহাট খাল থেকে কীর্তনখোলা নদীতে প্রবেশকালে বাল্কহেডের সাথে সংঘর্ষ হয় যার ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

পরে ১৩ ডিসেম্বর, বরিশালের দপদপিয়া সেতু সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে ভাসমান অবস্থায় সজল দাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ দুর্ঘটনায় মোট পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় প্রশাসন ও পুলিশ তদন্ত করেছে এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে ঘটনার সঠিক কারণ নির্ণয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন হতে পারে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় সজল দাস নিখোঁজ
  • ব্র্যাক ব্যাংক কর্মী ছিলেন সজল দাস
  • তার মোবাইলে কল করে চাঁদা দাবি
  • পরে সজল দাসের মৃতদেহ উদ্ধার
  • দুর্ঘটনায় মোট ৫ জনের মৃত্যু

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।