ঢাকা মহানগরীর একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা হল শ্যামপুর। ১৯৯৮ সালে সুত্রাপুর ও ডেমরা থানার কিছু অংশ নিয়ে শ্যামপুর থানা গঠিত হয়। এর আয়তন ১.৬৬ বর্গ কিমি এবং অবস্থান ২৩°৪১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। উত্তরে যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণে কদমতলী ও কেরানীগঞ্জ, পূর্বে কদমতলী এবং পশ্চিমে গেন্ডারিয়া ও কেরানীগঞ্জ এর সীমানা। ২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর কদমতলী থানা গঠনের পর শ্যামপুর থানার কিছু অংশ কদমতলী থানার অন্তর্ভুক্ত হয়।
শ্যামপুরের জনসংখ্যা প্রায় ১০৯,৩৩৩; যার মধ্যে পুরুষ ৬২,১৮৬ এবং মহিলা ৪৭,১৪৭। ধর্মীয়ভাবে ১০৪,৯৫৭ জন মুসলিম, ৪,২৯১ জন হিন্দু, ৬১ জন বৌদ্ধ এবং ২৪ জন অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। বুড়িগঙ্গা নদী এ থানার একটি প্রধান জলাশয়।
শিক্ষার হার ৬৫.৩৬%; পুরুষ ৬৮.০%, মহিলা ৬২.০৩%। এখানে ৩টি কলেজ, ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭টি এনজিও স্কুল এবং ৯টি মাদ্রাসা রয়েছে। শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ জিয়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল হাইস্কুল, জুরাইন আশরাফ মাস্টার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ধোলাইপাড় উচ্চ বিদ্যালয়, নতুন জুরাইন কে.এম মাইনুদ্দিন হাইস্কুল, মুরাদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
অর্থনীতিতে কৃষি, অকৃষি শ্রমিক, শিল্প, ব্যবসা, পরিবহন, চাকুরী, নির্মাণ, ধর্মীয় সেবা, রেন্ট অ্যান্ড রেমিট্যান্স ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। প্রধান কৃষি ফসল শাকসবজি এবং প্রধান ফল-ফলাদি আম, নারিকেল, পেয়ারা। পোশাক শিল্প, আইসক্রীম ফ্যাক্টরি, বেকারি, করাতকল শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মোট ১৮.৩৬ কিমি সড়ক রয়েছে এবং খিলগাঁও ফ্লাইওভার উল্লেখযোগ্য।
শ্যামপুরের প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে রয়েছে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ গোস্বামী আখড়া ও বিগ্রহ মন্দির (১৬৪২)। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০টি মসজিদ, ৩টি মন্দির এবং ১টি তীর্থস্থান রয়েছে। ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা উল্লেখযোগ্য এনজিও। পানীয়জলের উৎস নলকূপ, ট্যাপ এবং পুকুর। স্বাস্থ্যকেন্দ্র হিসেবে ৬টি ক্লিনিক এবং ৩টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে।