শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (সংক্ষেপে শেবাচিম) বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল শহরের দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকায় অবস্থিত একটি সরকারি চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত, শেবাচিম দেশের প্রাচীনতম সরকারি মেডিকেল কলেজগুলির মধ্যে একটি। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের অধীনে পরিচালিত হয় এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত। এখানে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের পাশাপাশি নার্সিং ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিষয়ক ডিপ্লোমা ও উচ্চতর ডিগ্রি কোর্সও চালু রয়েছে। ১৯৬৪ সালের ৬ নভেম্বর এর নির্মাণ কাজ শুরু হলেও, ১৯৬৮ সালে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হয়। মূলত বরিশাল মেডিকেল কলেজ নামে প্রতিষ্ঠিত হলেও, ১৯৭৭ সালে শের-ই-বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। শেবাচিমে ১০০০ শয্যার একটি হাসপাতাল, পৃথক বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট, আইসিইউ, একাডেমিক ভবন, ছাত্রাবাস, নার্সিং কলেজ, ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এলাইড সাইন্সেস, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার এবং আরও অনেক সুবিধা রয়েছে। প্রতি বছর এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময় এখানে একটি আলাদা করোনা বিভাগ চালু করা হয়। শেবাচিমের উন্নয়ন ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে শেবাচিমের অবকাঠামো, শিক্ষক ও জনবলের সংকট বিদ্যমান। বিস্তারিত তথ্যের জন্য শেবাচিমের ওয়েবসাইট (https://sbmc.edu.bd) দেখতে পারেন।
শেবাচিম
আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৮:১২ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত
- বরিশালে অবস্থিত সরকারি মেডিকেল কলেজ
- ১০০০ শয্যার হাসপাতাল
- এমবিবিএস, বিডিএস, নার্সিং কোর্স
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।