শেখ মহিউদ্দিন: একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা
উল্লেখ্য, "শেখ মহিউদ্দিন" নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। প্রদত্ত তথ্য থেকে দুটি উল্লেখযোগ্য শেখ মহিউদ্দিনের বর্ণনা নিম্নে দেওয়া হলো:
১. লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ:
এই শেখ মহিউদ্দিন বাংলাদেশের একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ড মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। ২৮ জানুয়ারী, ২০১০ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত এবং ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণির পরিবারের হত্যাকাণ্ডেও তিনি জড়িত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর লিবিয়ায় ত্রিপোলিতে কূটনৈতিক মিশনে পদোন্নতি পান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান এবং রাজনৈতিক আশ্রয় চান, যা ২০০২ সালে প্রত্যাখ্যান করা হয়। ২০০৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত হয়ে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ২০০৯ সালে তাঁর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালিতে আগুন ধরানো হয়।
২. শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ (গণতান্ত্রিক সর্বহারা পার্টির সভাপতি):
এই শেখ মহিউদ্দিন ছিলেন একজন রাজনৈতিক কর্মী। ২৩ মার্চ ১৯৬৫ সালে পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠিতে জন্মগ্রহণ করেন। সিরাজ সিকদারের আদর্শ অনুসরণ করে তিনি গণতান্ত্রিক সর্বহারা পার্টির সভাপতি এবং সিরাজ সিকদার পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে তিনি শেখ মুজিব ও তার পরিবারের হত্যার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তিনি সর্বহারা পার্টি বিলুপ্ত করে লিবারেল পার্টি বাংলাদেশ গঠন করেন। দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে তাকে বহুবার গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ২০০৫ সালে তিনি আয়ারল্যান্ডে চলে যান এবং সেখানে আইন ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতায় উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। বর্তমানে তিনি লন্ডনে বার-এ্যাট-ল' ডিগ্রি অর্জন করছেন এবং 'ন্যাচুরাল ডেমোক্রেসি' নামে একটি নতুন রাজনৈতিক ধারণার উপর গবেষণা করছেন।
উপরোক্ত তথ্য ছাড়াও শেখ মহিউদ্দিন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা আপনাকে অবহিত করব।