শহীদুল ইসলাম

শহীদুল ইসলাম: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন অসাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধা। 'লালু' নামে পরিচিত এই বীর যোদ্ধার জন্ম টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সূতী পলাশ গ্রামে। তার জন্ম তারিখ অজানা হলেও ২৫ মে ২০০৯ সালে মিরপুরে তার মৃত্যু হয়। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং ১১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। তিনি কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্য ছিলেন এবং ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরায় অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তার সাহসিকতা ও বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। শহীদুল ইসলাম বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। গোপালপুর থানার পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে তার দুঃসাহসিক গেরিলা অভিযানগুলি ইতিহাসে স্মরণীয়। ৭ অক্টোবর ১৯৭১-এর গভীর রাতে গোপালপুরে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে অংশগ্রহণ করে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পাকিস্তানি ঘাঁটিতে গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং গোপন তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে তিনি মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তার সাহসিকতা ও বীরত্বের কাহিনী আজও প্রজন্মের প্রেরণার উৎস। মৃত্যুর পর তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয় মিরপুরে। তার পিতার নাম হেলাল উদ্দিন, মাতার নাম সুধামণি এবং স্ত্রীর নাম মালা বেগম। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • শহীদুল ইসলাম, 'লালু' নামে পরিচিত, বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা।
  • ১৯৭১ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ।
  • কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্য হিসেবে গোপালপুরে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে দুঃসাহসিক যুদ্ধ।
  • গ্রেনেড হামলা ও গোপন তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে অবদান।
  • ২৫ মে ২০০৯ মৃত্যু এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত।

গণমাধ্যমে - শহীদুল ইসলাম

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আরাফাতের বাবা শহীদুল ইসলাম তার ছেলের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।

২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ৬:০০ এএম

শহীদুল ইসলাম আরাফাতের বাবা

২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

শহীদুল ইসলামের দোকানে কাজ করতেন আমজাদ হোসেন।