লুৎফর রহমান

লুৎফর রহমান: একাধিক পরিচয়ের অধিকারী ব্যক্তিত্ব

'লুৎফর রহমান' নামটি দুইজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে নির্দেশ করে। একজন চিকিৎসক, সাহিত্যিক ও সমাজসেবী, অপরজন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর। উভয় লুৎফর রহমানই তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন।

  • *ডাক্তার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (১৮৮৯-১৯৩৬):** মাগুরা জেলার পারনান্দুয়ালি গ্রামে জন্মগ্রহণকারী এই লুৎফর রহমান ছিলেন একজন ডাক্তার, সাহিত্যিক, সম্পাদক ও সমাজকর্মী। ১৯১৫ সালে মাগুরা উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পাস করেন। পরবর্তীতে শিক্ষকতা ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। 'গ্রন্থ-প্রকাশ' (১৯১৬) ও 'উন্নত জীবন' (১৯২৭) তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। কলকাতায় তিনি 'নারীতীর্থ' নামক একটি সংগঠন গঠন করেন পতিতা নারীদের পুনর্বাসনের জন্য। বেগম রোকেয়া ছিলেন এর সভাপতি। তিনি 'মহৎ জীবন', 'মানবজীবন', 'সত্য জীবন' প্রভৃতি গ্রন্থ রচনা করেন। ৩১ মার্চ ১৯৩৬ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
  • *লুৎফর রহমান সরকার (১৯৩৪-২০১৩):** বগুড়ার আমরুল ইউনিয়নের ফুলকোর্ট গ্রামে জন্মগ্রহণকারী লুৎফর রহমান সরকার ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ষষ্ঠ গভর্নর। তিনি ১৯৫৬ সালে রেডিও পাকিস্তানে যোগদানের পর বিভিন্ন ব্যাংকে কর্মরত থেকে ১৯৯৬-৯৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গণমুখী ব্যাংকিংয়ের প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত। মাসিক মুনাফা প্রকল্প, মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প, নারী উদ্যোক্তা লোন প্রকল্প প্রভৃতি তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান। 'দৈনন্দিন', 'সূর্যের সাত রং', 'টিয়ে পাখির বিয়ে' ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। তিনি বিভিন্ন পুরষ্কার ও সম্মাননা লাভ করেন। ২৪ জুন ২০১৩ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।

উভয় লুৎফর রহমানই তাদের জীবনে বিশেষ অবদান রেখেছেন, যা তাদেরকে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় করে তুলেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ডাক্তার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ছিলেন একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী।
  • তিনি 'নারীতীর্থ' নামক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
  • লুৎফর রহমান সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের ষষ্ঠ গভর্নর ছিলেন।
  • তিনি গণমুখী ব্যাংকিংয়ের প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত।
  • উভয়ই তাদের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন।

গণমাধ্যমে - লুৎফর রহমান

২১ ডিসেম্বর, ২০২৪

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান ডাকাতির ঘটনা সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন।