লালদীঘি মাঠ

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

লালদীঘি মাঠ: চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক স্মৃতির অংশ

চট্টগ্রাম শহরের ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। জেল রোডের শেষ প্রান্তে অবস্থিত এই মাঠটি একসময় মিউনিসিপাল ময়দান নামে পরিচিত ছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে উত্তর-দক্ষিণ রাস্তা নির্মাণের ফলে এটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়। একপাশ সাধারণ জনগণের খেলার মাঠে রূপান্তরিত হয় এবং পরে সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ঐতিহাসিক গুরুত্ব:

এই মাঠ বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। ১৯৬৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখানে ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করেন, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অমূল্য অধ্যায়। এছাড়াও, ভাষা আন্দোলন, ৬২-এর ছাত্র আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে বহু জনসভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাম্প্রতিক উন্নয়ন:

২০২২ সালে, জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে লালদীঘি মাঠের ব্যাপক সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়। 'ছয় দফা মঞ্চ' নির্মাণসহ মাঠটি আধুনিকায়ন করা হয়। এতে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার টেরাকোটা, শিশুদের জন্য কর্নার, বসার বেঞ্চ এবং ওয়াকওয়ে স্থাপন করা হয়।

বর্তমান অবস্থা:

বর্তমানে, লালদীঘি মাঠ সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে, তবে সিটি কর্পোরেশন এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। বিদ্যালয়ের সময় ছাত্রছাত্রীরা খেলার সুযোগ পায় এবং বিদ্যালয়ের বাইরে স্থানীয় শিশু-কিশোররাও খেলতে পারে। এখানে জব্বারের বলীখেলা প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়।

স্থান:

লালদীঘি মাঠ চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত, জেল রোডের কাছে। এর আশেপাশে আন্দরকিল্লা, জেলা পরিষদ ভবন এবং বেশ কিছু ব্যাংকের শাখা অবস্থিত।

আরও তথ্য:

লালদীঘি মাঠের সম্পূর্ণ ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য, সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদপত্রের প্রতিবেদন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ওয়েবসাইট এবং সংশ্লিষ্ট ঐতিহাসিক গ্রন্থাবলী পর্যালোচনা করুন।

মূল তথ্যাবলী:

  • চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অংশ।
  • ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু এখানে ছয় দফা ঘোষণা করেন।
  • ভাষা আন্দোলন, ৬২-এর ছাত্র আন্দোলন, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে জড়িত।
  • সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
  • বর্তমানে সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের অধীনে, সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।