লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীহাট ফেরিঘাট: একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কেন্দ্র
লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীহাট ফেরিঘাট লক্ষ্মীপুর ও ভোলার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌ-যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু। এই ফেরিঘাট দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার মানুষ যাতায়াত করে। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে এই ফেরিঘাট ও তার সংলগ্ন সড়কের অবস্থা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘাটের অবস্থা:
প্রতিবেদন অনুসারে, মজুচৌধুরীহাট ফেরিঘাটের সড়কটির বেহাল দশা চরম উদ্বেগের বিষয়। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বালু ব্যবসা, অতিরিক্ত বালুবাহী ট্রাকের চাপ ও রাস্তার দুর্বল অবস্থা এর জন্য দায়ী। ঘাট সংলগ্ন এলাকায় অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তা ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। ফলে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চরম দুর্ভোগে পড়ছে।
ঘাটের অপরিমার্জিত অবস্থা:
এছাড়াও, ফেরিঘাটটি সামান্য বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতেই ডুবে যায়। পারাপারের জন্য তিনটি ঘাট থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কেবল একটি মিড ওয়াটার লেভেলের ঘাটই নির্মাণ করা হয়েছে। এই ঘাটটিও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে লো ওয়াটার লেভেলের ঘাটে পরিণত হয়েছে, যার ফলে সামান্য জোয়ারেই ঘাট ডুবে যায়। এতে করে দুই পাড়ের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। যানবাহন ইঞ্জিনে পানি ঢুকে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
প্রশাসনের উদ্যোগ:
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসন কর্মকর্তারা ফেরিঘাটের অবস্থা পরিদর্শন করেছেন এবং রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করেছেন। একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে কিছু বালুবাহী ট্রাক জব্দ করেছে এবং চালকদের আটক করেছে। তবে, বালু ব্যবসা এখনও অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ:
মজুচৌধুরীহাট ফেরিঘাটের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী। সড়ক সংস্কার, বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, এবং অতিরিক্ত ঘাট নির্মাণের মাধ্যমে জনসাধারণের দুর্ভোগ কমানো সম্ভব। এই ফেরিঘাট দিয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ যাতায়াত করছে, তাই এর উন্নয়ন ও সংস্কার জরুরী প্রয়োজন। আমরা আশা করছি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। আগামী কোরবানী ঈদের আগেই রাস্তা ও ঘাটের সংস্কার সম্পন্ন হওয়া উচিত।
লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীহাট ফেরিঘাট
মজুচৌধুরীহাট ফেরিঘাটের সড়কের বেহাল অবস্থা
মজুচৌধুরীহাট ফেরিঘাট সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায়
বালু ব্যবসা ও অতিরিক্ত ট্রাকের চাপে রাস্তার ক্ষতি
প্রশাসনের উদ্যোগ: সড়কের সীমানা নির্ধারণ ও বালু ব্যবসায় অভিযান
ফেরিঘাট সংস্কারের জরুরি প্রয়োজন
লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীহাট ফেরিঘাটের বেহাল দশা ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
ভ্রাম্যমাণ আদালত
লক্ষ্মীপুর-ভোলা ফেরি সার্ভিস
লক্ষ্মীপুর
ভোলা
মজুচৌধুরীহাট ফেরিঘাট
সেলিম উদ্দিন নিজামী
ইউসুফ (ট্রাক চালক)
খোকন (বাস চালক)
অঞ্জন চন্দ্র পাল (জেলা প্রশাসক)
মোহাঃ শাজাহান আলি (সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা)
সিহাব উদ্দিন (সহকারী ব্যবস্থাপক)
রেজাউল করিম (টার্মিনাল সহকারী)
মজুচৌধুরীহাট ফেরিঘাট
লক্ষ্মীপুর
ভোলা
যোগাযোগ ব্যবস্থা
সড়কের অবস্থা
বালু ব্যবসা
নাব্যতা সংকট
ফেরিঘাট
দুর্ভোগ