রিও গ্যাভিন ফার্ডিনান্ড OBE (জন্ম: ৭ নভেম্বর, ১৯৭৮) একজন অবসরপ্রাপ্ত ইংরেজ পেশাদার ফুটবলার, যিনি সেন্টার-ব্যাক হিসেবে খেলেছেন। বর্তমানে তিনি TNT স্পোর্টসের টেলিভিশন ভাষ্যকার। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ৮১টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তিনটি ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি ইংল্যান্ডের অন্যতম সফল এবং সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে পরিচিত।
ফুটবল জীবনের শুরু হয় বিভিন্ন যুব দলের সাথে খেলে। পরে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডে যোগদান করেন এবং ১৯৯৬ সালে প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক হয়। দলের অন্যতম জনপ্রিয় খেলোয়াড় হিসেবে পরের মৌসুমে হ্যামার অফ দ্য ইয়ার পুরষ্কার পান। ১৯৯৭ সালে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন।
তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণে লিডস ইউনাইটেড তাকে ১৮ মিলিয়ন পাউন্ডে কিনে নেয়। দুই মৌসুম লিডসে খেলার পর ২০০২ সালে ৩০ মিলিয়ন পাউন্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদান করেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদানের প্রথম মৌসুমেই প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতেন। ২০০৩ সালে ড্রাগ টেস্ট মিস করার কারণে আট মাসের নিষেধাজ্ঞা ভোগ করতে হয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা এবং ১৪টি ট্রফি জেতেন। ২০১৪ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সে যোগদান করেন এবং এক মৌসুম পরে অবসর নেন।
২০১৭ সালে ব্যক্তিগত কারণে একজন পেশাদার বক্সার হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, যদিও পরে তা বাস্তবায়িত হয়নি। তার ভাই এন্টন ফার্ডিনান্ডও একজন ফুটবলার। তার চাচাতো ভাই লেস ফার্ডিনান্ড ইংল্যান্ডের সাবেক স্ট্রাইকার। তার ইংল্যান্ডের জার্সি নম্বর ছিল ৫।
রিও ফার্ডিনান্ড ৭ নভেম্বর, ১৯৭৮ সালে লন্ডনের পেকহামে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা আইরিশ এবং বাবা আফ্রো-সেন্ট লুসিয়ান। তিনি পেকহামে বড় হন এবং ক্যামেলট প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে ব্ল্যাকহিথ ব্লুকোট স্কুলে পড়াশোনা করেন। তিনি ২০০৯ সালে রেবেকা এলিসনকে বিয়ে করেন। রেবেকার মৃত্যুর পর ২০২০ সালে কেট রাইটকে বিয়ে করেন।
রিও ফার্ডিনান্ডের ফুটবল জীবন, তার ব্যক্তিগত জীবন, এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে এই লেখায়। তিনি একজন অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্ব এবং তার জীবনের অভিজ্ঞতা অনুসরণীয়।