রাজ্যসভা: ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ
ভারতের সংসদের দুটি কক্ষের মধ্যে রাজ্যসভা হল উচ্চকক্ষ। এটি একটি চিরস্থায়ী কক্ষ, যার অর্থ এটি বিলুপ্ত হয় না। লোকসভার বিপরীতে, রাজ্যসভা কখনো ভেঙে দেওয়া যায় না। এর সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা ২৫০ জন। ২৩৮ জন সদস্য রাজ্যের বিধানসভা ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিধানসভার দ্বারা নির্বাচিত হন, এবং ১২ জন সদস্যকে ভারতের রাষ্ট্রপতি শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সমাজসেবার ক্ষেত্র থেকে মনোনীত করেন। রাজ্যসভার সদস্যদের কার্যকাল ছয় বছর, এবং প্রতি দুই বছর অন্তর এক-তৃতীয়াংশ সদস্য অবসর গ্রহণ করেন।
রাজ্যসভার ক্ষমতা:
সংগ্রহসংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্যান্য সকল বিষয়ে রাজ্যসভা লোকসভার সমান ক্ষমতা ভোগ করে। তবে সংগ্রহসংক্রান্ত বিষয়ে লোকসভার ক্ষমতা অধিক। দুই কক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে যৌথ অধিবেশনের মাধ্যমে সমাধান করা হয়, যেখানে লোকসভার অধিক ক্ষমতা থাকে। আজ পর্যন্ত মাত্র তিনটি যৌথ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০০২ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইন পাস করার জন্য শেষ যৌথ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
চেয়ারম্যান ও উপ-চেয়ারম্যান:
ভারতের উপরাষ্ট্রপতি রাজ্যসভার পদাধিকারবলে চেয়ারম্যান। উপরাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে ডেপুটি চেয়ারম্যান, যিনি সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হন, সভার দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করেন। রাজ্যসভার প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ১৩ মে, ১৯৫২ সালে।
রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব:
রাজ্যসভার সদস্যদের রাজনৈতিক দলভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়। (৮ অক্টোবর ২০২০-এর তথ্য অনুযায়ী)
ঐতিহাসিক তথ্য:
রাজ্যসভা ভারতের সংবিধানের অধীনে গঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। এটি রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ এবং বিভিন্ন আইন প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর ঐতিহাসিক ভূমিকা এবং ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এর অবদান অপরিসীম।