রবীন্দ্র ঘোষ নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এই নিবন্ধে আমরা বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ সম্পর্কে আলোচনা করবো, যিনি কারাবন্দী হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে আইনি লড়াই করছেন।
রবীন্দ্র ঘোষ তিন বছর আগে একটি দুর্ঘটনার শিকার হন এবং চিকিৎসার জন্য প্রায়ই ভারতে আসেন। তিনি চিন্ময় দাস প্রভুর মামলা লড়াই করার জন্য অনড়। তার ছেলে রাহুল ঘোষের বক্তব্য অনুযায়ী, রবীন্দ্র ঘোষ নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও চিন্ময় দাসের পক্ষে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হতে পারে এবং তার জীবন হুমকির মুখে রয়েছে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতনীর জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং তাকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্বল পরিস্থিতি রবীন্দ্র ঘোষের মতো আইনজীবীদের অবস্থানকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুতির মুখোমুখি করেছে। ঐতিহাসিকভাবে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনসংখ্যার ২২ শতাংশ হিন্দু ছিল। কিন্তু কয়েক দশকের প্রান্তিকীকরণ এবং সহিংসতার ফলে আজ এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৮ শতাংশে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির জন্য রবীন্দ্র ঘোষের এই প্রচেষ্টা হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও এটি তাঁকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। তিনি ভারতে চিকিৎসার জন্য গেলেও তার মামলার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ়প্রতিজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন। চট্টগ্রামে তিনি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন এবং আইনজীবীদের ওপর হামলা ও হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জীবনের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।