যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্স: গণতন্ত্রের স্তম্ভ
যুক্তরাজ্যের সংসদের নিম্নকক্ষ হল হাউস অব কমন্স। লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদে অবস্থিত এই কক্ষটি ৬৫০ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) নিয়ে গঠিত। এই এমপিরা ‘ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট’ ভোট ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত হন এবং সংসদ ভেঙে না যাওয়া পর্যন্ত তাদের আসন ধারণ করেন।
ঐতিহাসিক পটভূমি:
১৩ ও ১৪ শতকে ইংল্যান্ডে কমন্সসভার উত্থান ঘটে। ১৭০৭ সালে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের একীকরণের পর এটি গ্রেট ব্রিটেনের কমন্সসভায় রূপান্তরিত হয়। ১৮০১ সালে আয়ারল্যান্ড যুক্ত হওয়ার পর এটি গ্রেট ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডের কমন্সসভায় পরিণত হয়। ১৯২২ সালে আয়ারল্যান্ডের অধিকাংশ অংশ স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এটি বর্তমান নামে পরিচিত। ১৯১১ এবং ১৯৪৯ সালের পার্লামেন্ট আইনের মাধ্যমে লর্ডসভার আইন প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা সীমিত করা হয়।
ক্ষমতা ও দায়িত্ব:
কমন্সসভা সরকারের প্রতি দায়বদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের অস্তিত্ব কমন্সসভার সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনের উপর নির্ভর করে। কমন্সসভা আইন প্রণয়ন, সরকারের নীতি পর্যালোচনা ও বাজেট অনুমোদন, এবং সরকারের কর্মকাণ্ডের তত্ত্বাবধান করে।
প্রভাব ও গুরুত্ব:
যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় হাউস অব কমন্স একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি দেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কক্ষের সিদ্ধান্ত দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজের উপর গভীর প্রভাব ফেলে।