যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (জেওসিএল): বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী তেল কোম্পানি
যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (জেওসিএল) বাংলাদেশের একটি অগ্রণী পেট্রোলিয়াম কোম্পানি, যা দেশের জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান ন্যাশনাল অয়েল লিমিটেড (পিএনওএল) নামে যাত্রা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার পিএনওএল অধিগ্রহণ করে এবং এর নামকরণ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল অয়েলস লিমিটেড। অবশেষে ১৯৭৩ সালের ১৩ জানুয়ারি, এর নামকরণ করা হয় যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড।
জেওসিএল প্রথমে পেট্রোবাংলার অধীনে একটি এডহক কমিটি দ্বারা পরিচালিত হতো। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ, কোম্পানি আইন ১৯১৩ অনুযায়ী, এটি একটি পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয়। ১৯৭৬ সালে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) গঠনের পর, জেওসিএল বিপিসির একটি সাবসিডিয়ারি হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৮৬ সালে ইন্দোবার্মা পেট্রোলিয়াম কোম্পানি লিমিটেডের (আইবিপিসিএল) সমস্ত সম্পদ ও দায় জেওসিএল-এর কাছে হস্তান্তরিত হয়।
২০০৭ সালের ২৫ জুন, জেওসিএল একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি থেকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয় এবং এর অনুমোদিত মূলধন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। পরবর্তীতে, কোম্পানির শেয়ার ঢাকা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মালিকানা যথাক্রমে ৬০.০৮% ও ৩৯.৯২%।
জেওসিএল অক্টেন, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, ফার্নেস তেল, বিটুমিন এবং লুব্রিকেন্টসসহ বিভিন্ন ধরণের পেট্রোলিয়াম পণ্য বাজারজাত করে। এছাড়াও, তারা বিশ্বমানের মোবিল ব্রান্ডের লুব্রিক্যান্ট এবং গ্রিজ এবং নিজস্ব যমুনা ব্র্যান্ডের লুব অয়েল বাজারজাত করে থাকে। কোম্পানির প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামে অবস্থিত এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে তার অফিস ও ডিপো রয়েছে।
জেওসিএল দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে অবদান রেখে আসছে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য কোম্পানির ওয়েবসাইট বা প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা যেতে পারে।