মো. সামসুল হুদা চৌধুরী

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৮:০৭ এএম
নামান্তরে:
মো সামসুল হুদা চৌধুরী
মো. সামসুল হুদা চৌধুরী

দুইজন মো. সামসুল হুদা চৌধুরীর তথ্য পাওয়া গেছে, তাই তাদের পৃথকভাবে বর্ণনা করা হলো:

প্রথম মো. সামসুল হুদা চৌধুরী:

এই সামসুল হুদা চৌধুরী বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৫ম স্পিকার ছিলেন। তিনি ১ মে ১৯২০ সালে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০০ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৯৪১ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক, এবং আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ভারত বিভাগের পর তিনি পূর্ব পাকিস্তানে আসেন এবং ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বসবাস করেন। তার স্ত্রী ছিলেন গায়িকা ও সমাজকর্মী লায়লা আর্জুমান্দ বানু।

তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তার মন্ত্রীত্বের মধ্যে রয়েছে ধর্ম বিষয়ক, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়, এবং রেল ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। তিনি বাংলাদেশ ব্রডকাস্টিং এনকোয়্যারি কমিশনের চেয়ারম্যানও ছিলেন (১৯৭৬)। গণমাধ্যমের প্রতি তার গভীর আগ্রহ ছিল এবং তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিও, রেডিও পাকিস্তান, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস, ইপিআইডিসি-তে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক দলের নেতৃত্বও দিয়েছিলেন।

রাজনৈতিক জীবনে, তিনি ১৯৭৯, ১৯৮৬ এবং ১৯৮৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৭ সালে তিনি তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ১০ জুলাই ১৯৮৬ থেকে ৫ এপ্রিল ১৯৯১ পর্যন্ত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।

দ্বিতীয় মো. সামসুল হুদা চৌধুরী:

এই সামসুল হুদা চৌধুরী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। তিনি পূর্বে হাইকোর্ট বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। তার নামের সাথে বিভিন্ন মামলা ও আদালতের রায় জড়িত। উল্লেখযোগ্য রায়ের মধ্যে রয়েছে ১০ জন বিচারকের পুনঃনিয়োগ, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের ক্যাডার সার্ভিসে অন্তর্ভুক্তকরণ, এবং একেএম শামীম ওসমান ও মকবুল হোসেন এর দুর্নীতি মামলার রায়। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা কিছু দুর্নীতির মামলা বাতিল করেছিলেন, এবং খালেদা জিয়া সংক্রান্ত কিছু মামলায়ও তিনি রায় দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি হলমার্ক গ্রুপের মামলায়ও রায় দিয়েছিলেন। ২০২১ সালে তার মেয়ে তুহিন সুলতানা তপু সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন।

উপরোক্ত তথ্যগুলি বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও তথ্য পাওয়া গেলে উপরোক্ত তথ্য সম্পর্কে আপডেট দেওয়া হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মো. সামসুল হুদা চৌধুরী (১ম): বাংলাদেশের ৫ম জাতীয় সংসদের স্পিকার
  • মো. সামসুল হুদা চৌধুরী (১ম): জিয়া ও সাত্তারের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী
  • মো. সামসুল হুদা চৌধুরী (১ম): ১ মে ১৯২০ - ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০০
  • মো. সামসুল হুদা চৌধুরী (২য়): বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি
  • মো. সামসুল হুদা চৌধুরী (২য়): বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য আদালতের রায়ের সাথে জড়িত

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মো সামসুল হুদা চৌধুরী

মো. সামসুল হুদা চৌধুরী নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।