মো. জয়নাল আবেদীন, যিনি ‘ভিপি জয়নাল’ নামে বেশি পরিচিত, একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। ১২ জানুয়ারি ১৯৫৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ফেনীর ফলেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন।
তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় ফেনী জেলার কাজিরবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে ফেনী সরকারী পাইলট হাই স্কুল থেকে এসএসসি, ফেনী সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে প্রথম গ্রেফতার হন। ১৯৬৪-১৯৬৫ সালে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭০ সালে জেলে থাকাকালীন ফেনী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন এবং ‘ভিপি জয়নাল’ নামে পরিচিতি লাভ করেন।
১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এ যোগদান করেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ফেনী জেলার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে সর্বদলীয় স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ২ মার্চ ১৯৭১ সালে ফেনী সরকারী কলেজ থেকে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। মুক্তিযুদ্ধে জেলা জোনাল কমান্ডার (বিএলএফ) হিসেবে অবদান রাখেন।
১৯৮৮ সালে চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ আসন থেকে জাসদ-এর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে জাসদ ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন এবং ২০০১ ও ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি অর্থ, বস্ত্র, পূর্ত ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থী ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে, ৮ জানুয়ারি ১৯৮০ সালে ফেনীর ফলেশ্বর গ্রামের কৃষি কর্মকর্তা মমতাজ উদ্দীন আহম্মেদ মজুমদারের কন্যা শাহানা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, একটি নিবন্ধে মো. জয়নাল আবেদীন মোল্লা নামে একজনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই দুই জয়নাল আবেদীনের মধ্যে সম্পর্ক স্পষ্ট নয়। আরো তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই অংশটি আপডেট করব। অন্যান্য তথ্যের জন্যও প্রয়োজনীয় তথ্য একত্রিত করে আমরা এই লেখা পরিবর্ধন করব।