মো. আব্দুল্লাহ: একাধিক ব্যক্তি ও প্রেক্ষাপট
এই নামটি একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত বলে, মো. আব্দুল্লাহ সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য প্রদানের জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন। নিচে উপলব্ধ তথ্য অনুযায়ী, কয়েকজন মো. আব্দুল্লাহ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে:
১. প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ:
একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং শিক্ষাবিদ। ১ জানুয়ারী ১৯৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। চাঁদপুর-৪ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন (১৯৯১-২০০০)। প্রথমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন, পরে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে কর্নেল (অব.) অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে যোগদান করেন। স্থানীয় রাজনীতিতে তিনি প্রফেসর আব্দুল্লাহ নামেই বেশি পরিচিত। ১৯৫৩ সালে ম্যাট্রিক, ১৯৫৫ সালে আই.কম এবং ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম(অনার্স) এবং ১৯৫৯ সালে এম.কম ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডন থেকে চার্টার্ড সেক্রেটারি হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করেন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের একটি মাধ্যমিক আধুনিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন এবং ডিগ্রী কলেজে অধ্যাপনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ও অর্থ বিভাগে ১৪ বছর খণ্ডকালীন অনুষদ সদস্য ছিলেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের সদস্য ছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি থেকে মনোনয়ন বাদ পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের জুনে বার্ধক্যজনিত কারণে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
২. বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল্লাহ:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। জন্ম তারিখ অজানা। তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করেছে। ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার তামাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে তৎকালীন মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংকের টাঙ্গাইলের পাঁচআনি বাজার শাখায় কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীতে যোগদান করে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। টাঙ্গাইলের এলাসিন, বাসাইলের নথখোলা, ঘাটাইল, নাগরপুর, মির্জাপুর এবং কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গার রাজবাড়ির যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
৩. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ:
একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫-১৩ জুন ২০২০। শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। গোপালগঞ্জ জেলার কেকানিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। মৃত্যুর পর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
৪. মো. আব্দুল্লাহ (শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী):
রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের একজন শিক্ষার্থী যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এই তথ্যগুলি বাদে আরও তথ্য প্রয়োজন মো. আব্দুল্লাহ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ লেখা প্রকাশ করার জন্য। আমরা আপনাকে আরও তথ্য উপলব্ধ হলে আপডেট করে জানাব।