মোহাম্মদ এমদাদুল হক: একাধিক ব্যক্তি ও তাদের পরিচিতি
উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী, "মোহাম্মদ এমদাদুল হক" নামটি একাধিক ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত। তাই, প্রতিটি ব্যক্তির বিস্তারিত তথ্য পৃথকভাবে উপস্থাপন করা হলো:
১. নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি): এই মোহাম্মদ এমদাদুল হক নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে কাজ করেন। তিনি এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করার বিষয়ে একটি সংবাদে উল্লেখিত হয়েছেন। তার বক্তব্য অনুসারে, ওই ছাত্রলীগ নেতা গত ২ জানুয়ারী নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিল এবং ছাত্রদল কর্মীরা তাকে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেনি। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পুলিশ লাইন এলাকায়।
২. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি: আরেকজন মোহাম্মদ এমদাদুল হক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। তিনি ১৯৬৩ সালের ৭ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ১৯৯০ সালের ৭ অক্টোবর জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট তিনি স্থায়ী বিচারপতি হন। তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচারে অংশগ্রহণ করেছেন।
৩. সাংবাদিক ও লেখক: আরেকজন মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী সাংবাদিক ও লেখক। তিনি লন্ডন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন এবং লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবে বিভিন্ন সাংবাদিক সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছেন।
৪. গ্রন্থকার: অপর একজন মোহাম্মদ এমদাদুল হক একজন গ্রন্থকার। তিনি ২৬ এপ্রিল ১৯৫০ সালে গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। কর্মজীবনে তিনি রুপালী ব্যাংকের ডিজিএম ও লয়ডেস্ কমার্স অ্যান্ড ইনেভেস্টমেন্ট কো-অপারেটিভ লিমিটেড এর জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ. ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ৩২টি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বিভিন্ন সম্মাননা ও পদক লাভ করেছেন।
উল্লেখ্য, উপরে উল্লেখিত তথ্য ছাড়াও মোহাম্মদ এমদাদুল হক নামের আরও ব্যক্তি থাকতে পারে। অধিক তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।