বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী: একজন সাংবিধানিক বিচারকের জীবনী
বাংলাদেশের হাইকোর্ট বিভাগের একজন সম্মানিত বিচারক হলেন বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী। ২ জুন ১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহণকারী এই বিচারক ২০১৫ সালে হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ১৯৯৩ সালের ১১ অক্টোবর তিনি জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে নামভুক্ত হন এবং ১৯৯৫ সালের ২৮ জানুয়ারী হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের ২৪ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের আইনজীবী হন।
বিচারপতি চক্রবর্তীর বিচারকর্মের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার সাথে জড়িতত্ব রয়েছে। উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা হল:
* ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের সাথে যৌথভাবে তিনি বন সংরক্ষণের প্রধান কর্মকর্তা ওসমান গণীর দুর্নীতির অভিযোগে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের রায় বহাল করেন।
* ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে বিচারপতি রুহুল কুদ্দুসের সাথে যৌথভাবে তিনি এক রায়ে জানান যে, শুধুমাত্র চিকিৎসাগত প্রমাণের অভাবে ধর্ষণের অভিযোগে একজন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না।
* ২০১৭ সালের ৯ মে বিচারপতি রুহুল কুদ্দুসের সাথে যৌথভাবে তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে ২৫ বছরের পুরানো দুর্নীতি মামলায় খালাস দেন।
* ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট বিচারপতি রুহুল কুদ্দুসের সাথে যৌথভাবে বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় রায় দেন, যেখানে ৮ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
২০২৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এস. তাহের হত্যা মামলার একজন মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীর ফাঁসি কার্যকর স্থগিতের আবেদন খারিজ করেন তিনি। ২০১০ সালে সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আপিল বিভাগ স্থগিত করেছিল। এই মামলাতে বিচারক হিসাবে ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর ভূমিকা ছিল।
বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর কর্মজীবন এবং বিচারিক কাজের বিস্তারিত তথ্য আরও বিস্তৃতভাবে প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমরা আপনাকে আগামীতে এই বিষয়ে আরও তথ্য জানাতে পারবো।