লালমনিরহাটের মোস্তফি: একটি স্থানের নাম, যেখানে ঘটেছে বিতর্কিত ঘটনা
লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের মোস্তফি হাট এলাকা সাম্প্রতিক সময়ে একটি বিতর্কিত ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। গত ৮ জানুয়ারী, ২০২৫ তারিখে রাতে এখানে একটি কোল্ড স্টোরেজে আয়োজিত একটি নৈশভোজকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই কোল্ড স্টোরেজের মালিক ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আখেরুল ইসলাম, যিনি ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার মিরপুরে একটি হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। এই নৈশভোজে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার, লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার এবং অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি কর্মীদের দাবি, পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে আখেরুল ইসলামের নৈশভোজের ছবি তুলতে গেলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করে। এতে অন্তত ১০ জন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের কর্মীরা লালমনিরহাট-ঢাকা জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায়। পুলিশ সুপার ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন এবং দুইজন ওসিকে প্রত্যাহার করেছেন।
মোস্তফি হাট এলাকাটি লালমনিরহাট শহরের কাছে অবস্থিত। এটি একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, যেখানে বিভিন্ন দোকানপাট এবং কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে। এই ঘটনার আগে এলাকাটি কোনও বিশেষ ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত ছিল না। তবে এখন এই ঘটনার কারণে মোস্তফি এলাকাটি জনসম্মুখে স্পষ্টভাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
আমরা যখন আরও তথ্য পেয়ে যাবো তখন এই প্রতিবেদনটি আরও বিস্তারিতভাবে আপডেট করব।