ঈদ মোবারক বা ঈদ মুবারক (আরবি: عيد مبارك) হলো মুসলিমদের একটি ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছাবাক্য, যার অর্থ “আনন্দ উদযাপন কল্যাণময় হোক”। এটি ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহায় পরস্পরকে বলে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতিতে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর বহুমুখী প্রথা রয়েছে।
- *ঈদ মোবারকের বৈচিত্র্য:**
- **আরব:** আরব মুসলমানরা “ঈদ মোবারক” ব্যবহার করে। “কুল্'আম্ ওয়ান্তুম্ বিখাইর্” (অর্থ: “আপনার প্রতিটি বছর ভালো যাক”) এবং “মিনাল আইদিন্ ওয়াল্ ফাইজিন্” (অর্থ: “আমরা যেন পবিত্র হতে পারি এবং আমরা যেন উপবাসে সফল হতে পারি”) ও ব্যবহৃত হয়।
- **ফার্সিভাষী:** ইরান, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তানে “ঈদ-ই শোমা মোবারক” বা সংক্ষেপে “ঈদ মোবারক” বলা হয়।
- **ভারতীয় উপমহাদেশ:** বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে “ঈদ মোবারক” বা “ঈদ মুবারক হোক” বলা হয়।
- **বসনিয়া ও সার্বিয়া:** “বজরাম শেরিফ মুবারেক ওলসুন” বলে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
- **তুর্কি:** তুরস্ক ও আজারবাইজানে “বায়রামিনিজ কুটলু ওলসুন” (“আপনার ঈদ শুভ হোক”) ইত্যাদি বাক্য ব্যবহৃত হয়।
- **ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া:** “সেলামাত হরি রায়” বা “সেলামাত ইদুল ফিত্রি” (ইন্দোনেশীয়) এবং “সালাম আইদিলফিত্রি” (মালয়) বলা হয়।
- **পশ্চিম আফ্রিকা:** হাউসা ভাষায় “বারকা দা সাল্লাহ” (“ধন্য ঈদের নামাজ”) বলা হয়।
- **লাতিন আমেরিকা:** “ফেলিজ ঈদ” (স্প্যানিশ) বলা হয়।
- *ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:** ঈদ মোবারক শুধুমাত্র একটি সাংস্কৃতিক শুভেচ্ছা। মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাহাবীদের ঈদুল ফিতরে “তাকাব্বাললাল্লাহু মিন্না ওয়া মিন্কুম্” (“আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের পক্ষ থেকে কবুল করুন”) বলা হতো। ঈদের নামাজ শেষে একে অপরকে জড়িয়ে ধরা ও কোলাকুলির রীতিও বিদ্যমান।
- *উপসংহার:** “ঈদ মোবারক” একটি সুন্দর ও সার্বজনীন শুভেচ্ছাবাক্য যা ঈদের আনন্দকে বহন করে। এটি বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতিতে বিভিন্ন রূপে প্রকাশিত হয়।