মেঘনা অ্যাডভেঞ্চার জাহাজের নাবিক

মেঘনা অ্যাডভেঞ্চার জাহাজের নাবিকদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশের নৌ-জাহাজ শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর, মেঘনা অ্যাডভেঞ্চার জাহাজটি রাশিয়া থেকে পণ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অর্লিন্স বন্দরে যাওয়ার পথে মিসিসিপি নদীতে চারজন নাবিক ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। নৌ-অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পালিয়ে যাওয়া ১৯ জন নাবিকের মধ্যে তিনটি জাহাজ মেঘনা কোম্পানির। পালিয়ে যাওয়া নাবিকদের বেশিরভাগ চট্টগ্রাম, ফেনী ও নোয়াখালীর বাসিন্দা। তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম হলো সোহানুর রহমান, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, আবু সুফিয়ান, মোস্তফা কামাল, ইসকান্দার মিজি, মো. সানাউল্লাহ, মোহাম্মদ আনোয়ারুজ্জামান, আব্দুল কুদুস, আমিনুল ইসলাম, ওপি হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ শেখ আলম, মেহেদী হাসান, আল আমিন, মো. ইমাম হোসেন, এনামুল হক, ইমরুল হোসেন এবং মোহাম্মদ ইব্রাহিম। মেঘনা গ্রুপের ক্যাপ্টেন আমান উল্লাহ চৌধুরী জানান, পালিয়ে যাওয়া নাবিকরা এই সেক্টরে অনেক পুরনো ও অভিজ্ঞ ছিলেন। এমনকি হেড কুকও ছিল পালানোর তালিকায়। তিনি বুঝতে পারেননি কেন তারা পালিয়ে গেল। এই ঘটনার ফলে, মেঘনা অ্যাডভেঞ্চারসহ অন্যান্য জাহাজগুলি যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে যেতে গেলে চারজন করে বডিগার্ড নিয়োগ দিতে হচ্ছে, যা অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা সৃষ্টি করছে। নাবিকরা পালিয়ে যাওয়ার ফলে বিশ্বের অনেক বন্দরে বাংলাদেশি নাবিকদের তীরে নামার অনুমোদন নেই, যা বাংলাদেশের নৌ-জাহাজ শিল্পের জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারণ হচ্ছে। নৌ-অধিদপ্তর পালিয়ে যাওয়া নাবিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা জারি করেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মেঘনা অ্যাডভেঞ্চার জাহাজ থেকে নাবিকরা পালিয়ে গেছে
  • ২৭ নভেম্বর ২০২৩-এ মিসিসিপি নদীতে ঘটনাটি ঘটে
  • মোট ১৯ জন নাবিক পালিয়ে গেছে, এর মধ্যে তিনটি জাহাজ মেঘনা কোম্পানির
  • পালিয়ে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশের নৌ-জাহাজ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
  • নৌ-অধিদপ্তর মামলা করেছে এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে

গণমাধ্যমে - মেঘনা অ্যাডভেঞ্চার জাহাজের নাবিক

মেঘনা অ্যাডভেঞ্চার জাহাজ থেকে মিসিসিপি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে চার নাবিক পালিয়ে গিয়েছিলেন।