মুফতী কেফায়তুল্লাহ আজহারী, উত্তরার জামিয়াতুল মানহাল আল কওমিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, তাবলিগ জামাতের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিনি সাদপন্থীদের 'সন্ত্রাসী চরমপন্থি বাহিনী' বিশেষ করে ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠে তাবলিগ জামাতের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি কাকরাইল মসজিদে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সাদপন্থীরা তাবলিগ জামাতের সাথী ও মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্রদের উপর নির্মম হামলা চালিয়ে তিনজনকে নিহত এবং শত শতকে আহত করেছে। ২০১৮ সালের ১লা ডিসেম্বরও একই ধরণের হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি সাদপন্থীদের কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং বিচারের আওতায় আনার জন্য, এবং কাকরাইল মারকাজ ও টঙ্গী ইজতেমার মাঠসহ তাবলিগের সব কার্যক্রম শুরাই নিজামের অধীনে পরিচালনার নিশ্চয়তা দিতে হবে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, ১৭ ডিসেম্বরের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ এবং এ ঘটনার পেছনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ও তাদের দোসরদের যোগসাজশের সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এবং এতে পার্শ্ববর্তী একটি দেশ ও ইসরায়েলের মদদ থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি সাদপন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের দাবিতে কাকরাইল এলাকায় অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচী শুরু করেছেন।
মুফতী কেফায়তুল্লাহ আজহারী
মূল তথ্যাবলী:
- মুফতী কেফায়তুল্লাহ আজহারী তাবলিগ জামাতের নেতা।
- তিনি সাদপন্থীদের সন্ত্রাসী চরমপন্থি বলে অভিহিত করেছেন।
- টঙ্গী ইজতেমা মাঠে হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি তিন দফা দাবি জানিয়েছেন।
- তিনি সাদপন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী শুরু করেছেন।
গণমাধ্যমে - মুফতী কেফায়তুল্লাহ আজহারী
মুফতী কেফায়তুল্লাহ আজহারী টঙ্গী ইজতেমা মাঠে সাদপন্থীদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং সাদপন্থিদের গ্রেফতার ও কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন।