বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনাগুলোকে সাধারণভাবে ‘মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ’ বলা হলেও, এটি একটি বহুবিধী শব্দ। দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলায় এমন অনেক স্মৃতিস্তম্ভ, ভাস্কর্য ও স্মৃতিসৌধ রয়েছে যা মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, গণহত্যা এবং বধ্যভূমিগুলিকে স্মরণ করে। তাই, কোন ‘মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ’ সম্পর্কে আলোচনা করছেন তা স্পষ্ট করা জরুরি।
উদাহরণস্বরূপ, খুলনায় দুটি উল্লেখযোগ্য স্থাপনা রয়েছে:
- চুকনগর গণহত্যা স্মৃতিস্তম্ভ: ১৯৭১ সালের ২০ মে, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে পাকিস্তানি বাহিনী বর্বর গণহত্যা চালায়। এই ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতি রক্ষার্থে ২০০৬ সালে গণপূর্ত বিভাগ ‘চুকনগর গণহত্যা স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ করে। তবে, অযত্ন অবহেলায় স্মৃতিস্তম্ভটির বর্তমান অবস্থা শোচনীয়।
- গল্লামারী স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধ: খুলনা মহানগরের প্রবেশপথে অবস্থিত গল্লামারী বধ্যভূমিতে ২০০৯ সালে ‘গল্লামারী স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধ’ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও, অর্থের অভাবে এটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য স্মৃতিস্তম্ভ হলো জাতীয় স্মৃতিসৌধ, যা ঢাকার সাভারে অবস্থিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নিহত মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মানুষের স্মরণে নির্মিত এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাতটি পর্যায়কে প্রতিনিধিত্ব করে।
এছাড়াও, টাঙ্গাইল, ঝিনাইদহ, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে ছোট-বড় অনেক স্মৃতিস্তম্ভ, ভাস্কর্য এবং স্মৃতিসৌধ রয়েছে। প্রতিটি স্মৃতিস্তম্ভের নিজস্ব ইতিহাস, গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য আছে। অতএব, কোন স্মৃতিস্তম্ভ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তা স্পষ্ট করে জানালে আরও সঠিক ও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব হবে।