বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট: এক নজরে
১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে রাষ্ট্রপতির আদেশ (পিও-৯৪/৭২) অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট (বামুকট্রা)। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী আহত ও নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের কল্যাণের জন্য এই ট্রাস্ট গঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে ট্রাস্টকে ১৮ টি শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দিয়ে যাত্রা শুরু করা হয়। পরবর্তীতে আরও ১১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয় এবং ট্রাস্ট নিজস্ব উদ্যোগে ৩টি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছু প্রতিষ্ঠান বিক্রি ও গুটিয়ে ফেলা হলেও বর্তমানে ১৭ টি প্রতিষ্ঠান ট্রাস্টের অধীনে কর্মরত রয়েছে।
ট্রাস্টের কার্যাবলী:
বামুকট্রা মূলত মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নিয়োজিত। এটি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করে। এই কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে:
- মাসিক ভাতা প্রদান
- চিকিৎসা সহায়তা
- শিক্ষা সহায়তা
- কর্মসংস্থান সুযোগ
- আবাসন সহায়তা
ট্রাস্টের বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে উৎপন্ন আয় এই কল্যাণমূলক কাজে ব্যবহৃত হয়। সরকার এই ট্রাস্টকে প্রতিবছর অর্থায়ন ও সহায়তা প্রদান করে থাকে।
প্রশাসনিক কাঠামো:
ট্রাস্টের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক সংস্থা হল বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। এই বোর্ড ট্রাস্টের সকল কাজকর্মের তত্ত্বাবধান করে। ট্রাস্টের দৈনন্দিন কাজকর্ম একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) দ্বারা পরিচালিত হয়। ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন বিভাগে কাজ করে থাকে।
স্থান:
ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত। এছাড়াও ট্রাস্টের অধীনে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বর্তমান অবস্থা:
ট্রাস্টকে আধুনিকায়ন ও স্বনির্ভর করার জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলছে।
যোগাযোগের জন্য:
[এখানে ট্রাস্টের যোগাযোগ তথ্য উল্লেখ করা হবে]
উল্লেখ্য: উপরের তথ্যগুলি সংক্ষিপ্ত। আরও বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন হলে আপনি ট্রাস্টের ওয়েবসাইট অথবা কার্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।