১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন অন্যতম প্রধান অবদানকারী। ৯ মাসব্যাপী তাদের অক্লান্ত সংগ্রাম ও ত্যাগের ফলেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি। লেখা অনুসারে, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালিদের উপর বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনার প্রতিবাদে। একাত্তরের যুদ্ধ ছিল তাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনেরই পরিণতি। মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ সারা পূর্ব পাকিস্তানে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। বিশ্বব্যাপী তারা নৈতিক ও আর্থিক সহায়তা পেয়েছিলেন। তবে দুঃখের বিষয় হলো, পাকিস্তানি বাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল, মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে নয়। এই ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে কেন্দ্র করে বিতর্ক রয়েছে। লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান কারিগর ছিলেন মুক্তিযোদ্ধারাই। তাদের ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা স্মরণ করে এক নতুন বাংলাদেশ গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে লেখায়। ভাটিয়াপাড়ার মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখযোগ্য ঘটনাও লেখায় তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ১৯ ডিসেম্বর ভাটিয়াপাড়া মুক্ত করেছিলেন। এই যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হলেন কে এম আমজাদ হোসেন, মোক্তার শেখ, হাবিবুর রহমান বাবু মিয়া, খালিদ ফিরোজ, আক্কাস হোসেন, নূরুল কাদির জুন্নুর, ইসমত কাদির গামা, বাবুল, মেজর মঞ্জুর, ক্যাপ্টেন হুদা, লে. কর্ণেল জোয়ান, কামাল সিদ্দিকী।
মুক্তিযোদ্ধারা
মূল তথ্যাবলী:
- মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অপরিসীম।
- ৯ মাসব্যাপী তাদের সংগ্রামে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
- ভাটিয়াপাড়ার মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের পরিচয় দেন।
- পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের ঘটনায় বিতর্ক রয়েছে।
- এক নতুন বাংলাদেশ গঠনের আহ্বান।